প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ১১:৪৫
কখনো কি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পেরেছিলেন এমন একটি দিন আসবে, যেখানে তাদের সমর্থকরা নীরব হবে, এবং নিজেদের পরিচিত লোকজন তাদের আগের সব অহংকার ভুলে একে একে প্রশ্নবিদ্ধ করবে? গত ২-১ মাস আগে যখন তাদের মুখে ছিল "মোদী হস্তক্ষেপ করলো, এটাই শেষ!" কিংবা "ইসুফ সরকার পালিয়ে যাবে!", তখন তারা ভাবতেও পারেনি যে বাস্তবতার মোকাবিলা করতে হবে এমন এক পরিস্থিতি, যেখানে তাদের গর্বিত শক্তি আর দাম্ভিকতা একেবারে শূন্য হয়ে যাবে।
একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যেভাবে রাজনৈতিক শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, তাতে তারা নিজেদের সঙ্কটে কখনো কল্পনাও করেনি যে, একদিন তাদের সেই প্রশিক্ষণ আর তত্ত্বাবধানে দাঁড়িয়ে থাকা দল তাদেরকে এমন অভ্যন্তরীণ প্রতিকূলতার মধ্যে ফেলবে। কিন্তু অজানা এক সঙ্কল্পের মধ্যে, তারা হঠাৎ থমকে গিয়ে পড়েছে। তারা নিজেদের দোষে দোষী হলেও, কেবল অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলতে থাকে। এমনকি, তারা একসময় চিৎকার করেছিল, "এই অন্যায় করেছে, ওই এটা করেছে", অথচ তারা ভুলে গেছে তাদের নিজের দলও অনেক কিছু করেছে যা তারা আগে কখনো ভাবেনি।
তাদের নিজের দায়িত্ব তো চিরকালই থাকবে। একে অপরকে দোষারোপ করে আর লাভ নেই। ঠিক যেমন একটি পুরনো প্রবাদ বলে, “অন্যের জন্য খোদা কুয়ায় নিজে ডুবে মরল সবাইকে নিয়ে।” আওয়ামী লীগ নেতাদের এখন যেন সেই প্রবাদটির বাস্তব প্রতিফলন ঘটছে। যতই তারা অন্যদের পেছনে আঙুল তুলুক না কেন, এক সময় তাদের সেই সব সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ঘটতেই হবে।
তবে, তাদের বিভ্রান্তির মধ্যে একটি বিষয় পরিষ্কার – নিজেদের অবস্থা বুঝে তারা আরও বিভ্রান্ত হতে থাকে। যার ফলে, একসময় নিজেদের আদর্শের পথ হারিয়ে তারা একটি বিরাট বিপদে পড়ে গেছে। এটা কেবল তাদের দলের জন্যই নয়, বরং পুরো দেশের জন্যই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লেখক - ফাতেমাতুজ জোহরা- অটিজম স্পেশালিষ্ট , স্পিস এন্ড সেন্সরি ক্লিনিক , উত্তরা ১২ , ঢাকা।