প্রকাশ: ১ জুন ২০২৫, ১১:৫২
কুমিল্লার দেবীদ্বারে একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন আশপাশের অন্তত দশটি গ্রামের মানুষ। বছর শেষ হয়ে গেলেও অসম্পূর্ণ সড়ক এখন স্থানীয়দের কাছে দুর্ভোগের আরেক নাম হয়ে উঠেছে।
উপজেলার বড়শালঘর ইউনিয়নের ছোটশালঘর এলাকার কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বাস স্ট্যান্ড থেকে সৈয়দপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার সড়কের কাজ চলছিল ‘পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প’-এর আওতায়। ৮৪ লক্ষাধিক টাকার এই কাজ পায় ‘ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ’ নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
প্রকল্প অনুযায়ী চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় অর্ধেক ইট-সুরকী ফেলেই কাজী মো. তছলিম নামের ওই ঠিকাদার সাইট ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে বাকি অংশে বক্স কেটে ফেলে রেখে চলে যান তিনি।
এদিকে রাস্তা কাটা এবং অসম্পূর্ণ থাকার কারণে চলাচলে মারাত্মক সমস্যার মুখে পড়েছে স্থানীয়রা। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং বাজারে যাতায়াত করতেই এখন কাঁদা পানি ডিঙাতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে।
শুধু তাই নয়, বৃষ্টির পানিতে গর্তে জলাবদ্ধতার কারণে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছে। মসজিদ নির্মাণ এবং বাসাবাড়ির নির্মাণ সামগ্রী পৌঁছানোও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান বাসিন্দারা।
দুই শিশু শিক্ষার্থী রোকন ও সুমনের ভাষায়, ঘর থেকে বের হলেই হাঁটুসমান পানি—ফলে তারা স্কুলে যেতে পারছে না। একই অভিজ্ঞতা জানালেন আবুল কাসেম ও নূরজাহান বেগম নামের স্থানীয় বাসিন্দারা।
উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার জানান, কাজের গাফিলতির জন্য প্রথমে তছলিমকে সতর্ক করা হয়। পরে স্থানীয় বিএনপি সমর্থক জহির ও মোস্তফা ঠিকাদারকে সরিয়ে তারাই কাজ করবে বলে দাবি করলেও পরে তারাও কাজ শেষ না করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে পূর্বের কাজ বাতিল করে নতুনভাবে টেন্ডার আহ্বানের প্রস্তুতি চলছে। তবে এতে সময় লাগবে ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত। আপাতত জরুরি ভিত্তিতে বক্স কাটা জায়গাগুলো বালু দিয়ে ভরাট করে চলাচলযোগ্য করা হবে।