মুসলিমদের ত্রাণ না দেয়ার শর্তে সরকারকে অর্থ দিল ভারতীয় বিচারপতিরা
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি তহবিলে অর্থ প্রদানে মুসলিম বিদ্বেষের পরিচয় দিলেন ভারতের বিচারপতিরা। বিবিসি বাংলা জানায়, মুসলিমদের ত্রাণ না দেয়ার শর্তে সরকারি তহবিলে অর্থ দিয়েছেন আসাম রাজ্যে গঠিত ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের প্রায় ডজনখানেক সদস্য।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে মুসলিমবিদ্বেষী এই শর্ত জুড়ে দিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন এসব বিচারপতি। আসামের বিভিন্ন জেলার ১২ জন ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল সদস্য সম্মিলিতভাবে ‘কভিড-১৯ এর আক্রমণ থেকে মানবতাকে রক্ষা করতে’ যৌথভাবে ৬০ হাজার রুপিরও বেশি দান করেন।
সেই সঙ্গে ওই চিঠিতে তারা বলেন, ‘আমাদের একটাই প্রার্থনা থাকবে, এই অর্থ যেন তাবলিগ জামাত, জিহাদি বা জাহিলদের (অশিক্ষিত) ত্রাণে না লাগে।’ আসামে জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) থেকে যাদের নাম বাদ পড়েছে, তাদের এই ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালেই আপিল করতে হয়।
ট্রাইব্যুনালটির সদস্যরা বিচারকের ক্ষমতাসম্পন্ন। তারাই স্থির করেন কারও আপিল গৃহীত হবে কী না। এদিকে এসব বিচারপতিদের প্রকাশ্যে এ রকম মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্যে তীব্র সমালোচনা করেছেন অ্যাকটিভিস্ট ও মানবাধিকার কর্মী।
আসামের মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আমন ওয়াদুদ বলেন, ‘এই ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ মানসিকতার লোকজনের ওপর কীভাবে নাগরিকত্বের ফয়সালা করার ভার ছেড়ে রাখা হয়েছে তা তো ভাবতেই পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিকত্ব হলো সংবিধানে প্রদত্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। আর সেটা থাকবে কি না, তা ঠিক করছেন এমন লোকজন যারা প্রকাশ্যে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকজনকে জিহাদি বা জাহিল বলে গালিগালাজ করছেন।’
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।