প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১২:১৩
ভারতীয় ভ্রমণ সংস্থার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা দক্ষিণ এশিয়ার অভিবাসন নীতিতে একটি বড় সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে সোমবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এসব সংস্থার কিছু মালিক, প্রধান নির্বাহী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনে সচেতনভাবে সহায়তা করায় তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলো প্রতিনিয়ত অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার শনাক্তে কাজ করছে। বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে এমন জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার পরেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে। এর ফলে নিষেধাজ্ঞাভুক্ত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ কিংবা ভিসা প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না।
মার্কিন প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা কেবল বিদেশি নাগরিকদের সতর্ক করার জন্য নয়, বরং অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তাকারীদেরও আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যেই এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে মানবপাচারের মতো অপরাধে যুক্ত থাকা আন্তর্জাতিক চক্র ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
এমনকি এই নিষেধাজ্ঞা তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, যারা ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামের অধীনে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের সুযোগ পেয়ে থাকেন। এর ফলে অনেক নামী ও পুরনো ভ্রমণ সংস্থাও জটিলতার মুখে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিবাসন নীতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের এই কড়াকড়ি আগের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক এবং বিস্তৃত হয়েছে। জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় নাগরিকদেরও এর বাইরে রাখা হয়নি। কিছুদিন আগে হাতে ও কোমরে রশি বেঁধে বেশ কয়েকজন ভারতীয়কে বিমানে তুলে দেশে ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ।
এই পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার ভ্রমণ ও অভিবাসন খাতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।