প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ১০:৫৬
রাত গভীর। দক্ষিণ এশিয়ার আকাশজুড়ে নেমে এসেছে নিস্তব্ধতা। ঠিক সেই সময়েই পাকিস্তানের ইতিহাস গড়েন নারী ফাইটার পাইলট আয়েশা ফারুক। শত্রু ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমানকে নিশানা করে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ধ্বংস করেন তিনি। ঘটনাটি শুধু সামরিক নয়, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রেও এক অসাধারণ মাইলফলক হয়ে উঠেছে।
৬ মে গভীর রাতে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর জেট থেকে ছোড়া এআইএম-১২০সি ক্ষেপণাস্ত্র ২৭ সেকেন্ডের এক ঝড়ো অভিযানে রাফালকে পরিণত করে ধ্বংসস্তূপে। বিশ্বের সামরিক ইতিহাসে এই প্রথম রাফাল কোনো নারীর হাতে ভূপাতিত হলো। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সামরিক বিশ্লেষকরাও এই ঘটনার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করছেন।
পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরে জন্ম নেওয়া আয়েশা ছোটবেলা থেকেই সামরিক জীবন ও ফ্লাইং ক্যারিয়ারের স্বপ্ন দেখতেন। বাবাকে হারানোর পর মায়ের অনুপ্রেরণায় এগিয়ে যান তিনি। আত্মীয়দের আপত্তি ও সামাজিক চাপের মুখেও নিজের স্বপ্ন থেকে সরে যাননি। তিনি বিশ্বাস করতেন, নারীরাও পারে যুদ্ধজয়ে নেতৃত্ব দিতে।
বিমানবাহিনীতে তার যাত্রা ছিল কষ্টকর। প্রথম নারী হিসেবে তাকে বারবার প্রমাণ করতে হয়েছে নিজের দক্ষতা। আয়েশা জানান, পুরুষ সহকর্মীদের মতোই তাকে কঠিন প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। দিনের শুরু হতো ভোর ৪টায় আর শেষ হতো রাত ১২টায়। মানসিক চাপ ও শারীরিক পরিশ্রমকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তিনি নিজেকে গড়ে তুলেছেন এক সাহসী যোদ্ধা হিসেবে।
পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে এখন ৩১৬ নারী সদস্য রয়েছেন, যাদের মধ্যে মাত্র ৫ জন ফাইটার জেট চালাতে পারেন। তবে আয়েশাই একমাত্র যিনি যুদ্ধ অভিযানে প্রস্তুত। তিনি বলেন, লিঙ্গ নয়, যোগ্যতাই এখানে আসল। দেশরক্ষার এই পেশায় সৌন্দর্য নয়, সাহসিকতা লাগে। তিনি শুধু নিজের স্বপ্ন নয়, পুরো পাকিস্তানের নারী সমাজের সাহসের প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
এই আকাশযুদ্ধের মাঝেই ভারতের হামলায় পাকিস্তানের ১১ সেনাসদস্য নিহত হন, আহত হন আরও ৭৮ জন। পাশাপাশি প্রাণ হারান সাতজন নারী ও ১৫ শিশুসহ ৪০ বেসামরিক নাগরিক। ভারত অভিযুক্ত করে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীর হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য।
দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনার মধ্যেই ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় ভারত-পাকিস্তান। কিন্তু সেই রাতেই মোদির ভাষণ শেষে কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে ড্রোনের গতিবিধি ও বিস্ফোরণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী ব্ল্যাকআউট ও পাল্টা হামলার মাধ্যমে জবাব দেয়।
আয়েশা ফারুকের ক্ষিপ্রতা ও সাফল্য যেন এই উত্তপ্ত সময়ে এক নতুন বার্তা নিয়ে এসেছে— নারীর শক্তি কোনো সীমারেখা মানে না। তার ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই সে বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।