প্রকাশ: ৪ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৪১
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মোড়ে মোড় নিচ্ছে। এই রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ভারত কার্যত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দেয়। যদিও এখনো কিছু সীমিতসংখ্যক ভিসা দেওয়া হচ্ছে, তবে তা কেবলমাত্র চিকিৎসা, শিক্ষার্থী কিংবা কর্মসংক্রান্ত বিশেষ প্রয়োজনে।
এ অবস্থার মধ্যেই ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভিএসি) ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ফি (সার্ভিস চার্জ) প্রায় দ্বিগুণ করা হচ্ছে। ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন সার্ভিস চার্জ হবে ১ হাজার ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৮২৪ টাকা।
ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সরকারিভাবে কোনো ভিসা ফি নেওয়া হয় না। কেবলমাত্র আইভিএসি নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সার্ভিস চার্জ নিয়ে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া পরিচালনা করে। তাদের পরিচালন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত আইভিএসি'র ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম সার্ভিস চার্জে পরিবর্তন আনা হলো। নতুন খরচটি ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
বর্তমানে ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও খুলনার ভিসা সেন্টারে খুবই সীমিতভাবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। তাও শুধু জরুরি চিকিৎসা, শিক্ষার্থী এবং যারা ভারত হয়ে তৃতীয় দেশে ভ্রমণ করবেন, তাদের জন্য।
অনেক বাংলাদেশি নাগরিক প্রতিবছর ভারতে চিকিৎসা ও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং ভিসা সীমিতকরণে এধরনের যাত্রায় বড় ধাক্কা এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক সম্পর্ক যত দ্রুত স্বাভাবিক হবে, তত তাড়াতাড়ি এই সংকট কাটিয়ে উঠা সম্ভব। অন্যথায় বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভারত ভ্রমণ ক্রমেই জটিল হয়ে উঠবে।এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার তাগিদ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।