সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: বুধবার ১৫ই জানুয়ারী ২০২৫ ০২:২২ অপরাহ্ন
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বুধবার চারটি কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে। তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কমিশন প্রধানরা এসব প্রতিবেদন জমা দেন। সরকারের পক্ষ থেকে বিকাল ৩টায় একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব প্রস্তাবের বিস্তারিত জানানো হবে।  


কমিশনগুলো হলো- নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন। এসব কমিশন সরকারের বিভিন্ন দিক নিয়ে সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে কাজ করেছে।  


নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনটি ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে কাজ করছে, যেখানে নির্বাচন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা সুপারিশ করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনটি সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বে কাজ করছে, এবং এই কমিশন পুলিশি কার্যক্রমের আধুনিকীকরণ এবং জনকল্যাণের জন্য নতুন প্রস্তাব দিয়েছে।  


টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতি প্রতিরোধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছে, যাতে প্রশাসনিক এবং সরকারি খাতে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পায়। সংবিধান সংস্কার কমিশনটি ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বে কাজ করছে, এবং তাদের সুপারিশ সংবিধানের বিভিন্ন ধারায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।  


কমিশনগুলোর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এখন অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে। আগামী কিছু দিনের মধ্যে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  


এ সংলাপের লক্ষ্য হবে সংশ্লিষ্ট সংস্কার প্রস্তাব এবং এগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো। এর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার প্রয়াসে রূপরেখা তৈরি করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।  


আলোচনার পর, যদি প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে একমত হওয়া যায়, তবে তা সরকারের পদক্ষেপের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এ সংলাপ দেশের শাসনব্যবস্থা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।  


এই প্রক্রিয়া দেশের রাজনৈতিক সংস্কারের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে, যা দেশের ভবিষ্যতের উন্নয়নে সহায়ক হবে।