প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে কলকাতার একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। পুলিশের সামনেই ডাক্তারকে সপাটে চড় কষালেন মৃতার স্বামী। আর তারপরই দুপক্ষের মধ্যে ছড়ায় হাসপাতালে তুমুল উত্তেজনা।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, প্রসূতির মৃত্যুর পর তার কারণ না জানিয়ে বিল মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেয় ওই বেসরকারি হাসপাতাল। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘিরে হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায়। চিকিৎসককে চড় মারার ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি ফুটেজে। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় ওই ভিডিওটি।
ওই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রোগীর পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন চিকিৎসক। ঠিক কী কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে, তা বোঝানোর চেষ্টা করছেন তিনি। তার মধ্যেই আচমকা চেয়ার থেকে উঠে ওই চিকিৎসককে চড় মারছেন এক ব্যক্তি। তার জেরে পড়ে যান চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সিজার করে সন্তানের জন্ম দেন হাওড়ার তাঁতিপাড়ার বাসিন্দা পিঙ্কি ভট্টাচার্য। তার পর পরিবারের লোকজন তাঁর সঙ্গে দেখা করেন।
তাদের দাবি, সেই সময় পিঙ্কি এবং তার সদ্যোজাত সন্তান দু’জনেই সুস্থ ছিল। কিন্তু বুধবার ভোরের দিকে তাঁদের ফোন করে জানানো হয়, পিঙ্কির অবস্থার অবনতি হয়েছে। রক্তের প্রয়োজন। তখনই পরিবারের লোকজন হাসপাতালে আসেন। কিন্তু সকালে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, পিঙ্কির মৃত্যু হয়েছে।
পিঙ্কির পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, কী কারণে মৃত্যু, তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাতে চায়নি। উল্টে বিল মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। তখনই উত্তেজনা ছড়ায়। কী কারণে মৃত্যু তা না জানার জন্য হাসপাতালের কোনও প্রতিনিধি, নার্স বা চিকিৎসক-কেউ তাদের কিছু বলতে চাননি বলেও অভিযোগ।
হাসপাতালের পক্ষে পরে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পিঙ্কির মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি। এই ঘটনা জানানোর পরেই পরিবারের লোকজন হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। চিকিৎসক ও নার্সদের মারধর করেছেন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।