মেয়েকে শ্লীলতাহানি করায় পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মা। এ ঘটনায় মামলা হলে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। কিন্তু মামলায় জামিন পেয়েই আক্রমণ চালানো হলো অভিযোগ করা ওই পরিবারটির ওপর। বেধড়ক পিটুনিতে প্রাণ গেলো কিশোরীর মায়ের। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কানপুরে। এ ঘটনায় আরও একবার শিউরে উঠল দেশ। ঘটনা পর ৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে মেটিতে দেখা গেছে লাল কুর্তা পরা এক মহিলা মাটিতে পড়ে আছেন। আর পা দিয়ে তাঁর মুখে সমানে লাথি মারছে সাদা পাঞ্জাবি পরা একটি লোক।
১৩ বছরের কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে আবিদ, মিন্টু, চাঁদবাবু, জামিল ও ফিরোজকে গ্রেফতার করা হলেও স্থানীয় আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায় তারা। পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দলবল নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে চড়াও হয় জামিনে মুক্তিপ্রাপ্তরা। কিশোরীর পরিবারকে শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে তারা। কিন্তু মেয়েটির মা তাতে রাজি না হওয়ায় বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। মারধর করা হয় ওই পরিবারের অন্য এক মহিলা সদস্যকেও। ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় কিশোরীর মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মারা যান তিনি।
পুলিশ সুপার (পূর্ব) রাজকুমার আগরওয়াল জানান, হামলাকারীদের মধ্যে ৩ জন এখনও অধরা। বাকি তিন জনকে ঘটনার তিনদিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার নিগৃহীত মহিলার মৃত্যু হওয়ায়, পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে নতুন করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে নিহত মহিলার নাবালিকা মেয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিল। সেই ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে, ৩৫৪সি ধারা ছাড়াও পকসো আইনে পৃথক মামলা দেয়। তার পরেও অভিযুক্তরা আদালতে জামিন পেয়ে যায়। এরপরেই নাবালিকার বাড়িতে এসে তাঁর মাকে মামলা প্রত্যাহারের জন্যে হুমকি দিতে থাকে তারা। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয় মহিলার উপর, যার ফলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।