প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২০, ২৩:১৪
রাজধানীর সড়কের আকাশজুড়ে মাকড়সার জালের মতো ঝুলে থাকা তারের দায় নিতে নারাজ এনটিটিএন অপারেটরগুলো। লাইসেন্স পাওয়ার ১০ বছরেও কিছু করেনি’, সিটি করপোরেশনের এমন বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) প্রতিষ্ঠানগুলো।এনটিটিএন এবং বাংলাদেশ টেলিকমিনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে বলে মত ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর।
রাস্তাঘাট থেকে অযাচিত ফাইবার কেবল সরিয়ে ফেলা, একই স্থানে একাধিক ফাইবার নেটওয়ার্ক যেন গড়ে না ওঠে এবং মাটির নিচ দিয়ে তার নেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ২০০৯ সালে লাইসেন্স দেওয়া হয় দেশীয় দুইটি প্রতিষ্ঠানকে। ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) রেগুলেটরিং অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইনের আওতায় এই লাইসেন্স দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। সে বছরের শুরুতেই ফাইবার অ্যাট হোম এবং শেষ দিকে সামিট কমিউনিকেশন এনটিটিএন অপারেটর হিসেবে লাইসেন্স পায়। গেল ২০১৯ সালে প্রাইভেট খাতে তৃতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই লাইসেন্স পায় বাহন লিমিটেড।
আজ এই করোনাকালে ঘরে ঘরে যে মানুষ অনলাইনে কার্যক্রম করছে তার বড় অংশই আমাদের এনটিটিএনদের করে দেওয়া নেটওয়ার্কের ওপর। এখন বাড়ি বাড়ি তার টানার যে কথা বলছে সিটি করপোরেশন, এটা তো আমাদেরকে আগে কেউ করতে বলেনি। বিটিআরসি বলেনি, সিটি করপোরেশনও বলেনি। আমাদের লাইসেন্সের শর্তেও এটা বলা ছিল না। তবুও একটি এনটিটিএন পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীর ছয়টি স্থানে ফাইবার টু দি হোম অর্থাৎ এফটিটিএইচ বক্স স্থাপন করেছিল। কিন্তু কোনো ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) বা ক্যাবল অপারেটর তাদেরকে সহযোগিতা করেনি। সেই এনটিটিএনের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এটা দেখে আমরাও সামিট থেকে এমন কিছু আর করিনি। আজ হঠাৎ করে বাড়ি বাড়ি, অলিতে গলিতে লাইন চাইলে তো হবে না। শুধু ঢাকা শহরেই সামিটের প্রায় এক হাজার ২০০ কিলোমিটার বিস্তৃত নেটওয়ার্ক আছে। তাহলে আমরা ১০ বছর কিছু করলাম না কীভাবে?”
তাহলে আমরা কত টাকা সিটি করপোরেশনকে দিয়েছি একবার হিসাব করেন। আমরা যদি কিছু নাই করি তাহলে এত টাকা বিনিয়োগ করেছি কেন? শুধু ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকেই আমরা ৫ বছরে প্রায় ৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছি রাস্তা খোঁড়ার জন্য। সিটি করপোরেশন নির্ধারিত সব প্রধান সড়ক ও রাজপথে আমাদের ফাইবার আছে। আমরা দেশীয় প্রতিষ্ঠান কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এখনও লোকসানের মধ্যেই আছি। আর আমাদেরকে এভাবে একতরফা দোষারোপ করা হচ্ছে। এটা আমরা মানতে পারি না। ”