প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:২৩
অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার সঙ্গে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনলাইন যোগাযোগ ও ভার্চুয়াল বৈঠক ঠেকাতে দুটি অ্যাপস নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টেলিগ্রাম ও বোটিম এই অ্যাপস দুটি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর বন্ধ করে দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গত ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ পদক্ষেপ জরুরি বলে মন্তব্য করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর ভারতে বসেই দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক ও যোগাযোগ চালানো হচ্ছে। এসব বৈঠকের মাধ্যমে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে ২৪৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে দেড় শতাধিক ব্যক্তি টেলিগ্রাম ও বোটিম ব্যবহার করে ভারতে থাকা নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। এই তথ্য অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে আসে এবং এ ধরণের অনলাইন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত রাতে টেলিগ্রাম ও বোটিম অ্যাপস ব্যবহারে গতি কমানো সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া নির্বাচনের সময় নিরাপত্তা এবং অস্থিতিশীলতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা বলেন, ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রভাবিত হচ্ছে। তাই অনলাইন যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এর ফলে নির্বাচনের সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার নিশ্চিত করেছে, নির্বাচনের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এ পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসন এই ধরনের কার্যক্রমের ওপর নিয়মিত নজর রাখবে এবং প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অনলাইন যোগাযোগের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমানো সম্ভব হবে এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করা যাবে। জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবে এবং নির্বাচনের ফলাফল বিশ্বাসযোগ্য হবে।