প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৫২
বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজে কর্মচারী নিয়োগে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির আর কোনো কর্তৃত্ব থাকছে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নতুন পরিপত্র জারি করে জানানো হয়েছে, এখন থেকে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে নিয়োগ সুপারিশ কমিটি গঠন করা হবে। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে জারি করা এই ‘বেসরকারি স্কুল-কলেজের প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক ব্যতীত অন্যান্য পদে অনুসরণীয় নির্দেশমালা’ পরিপত্রে স্বাক্ষর করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীন।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষক ছাড়া অন্যান্য এমপিওভুক্ত কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে আর ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির কোনো ভূমিকা থাকবে না। এর আগে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে গভর্নিং বডির সভাপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠিত হতো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এই নতুন বিধান করা হয়েছে। এতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রভাব খাটানোর সুযোগ কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষক ছাড়া অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগে সুপারিশ কমিটির সভাপতি হবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক। কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন জেলার সবচেয়ে পুরোনো সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বা তার প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের একজন প্রতিনিধি এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক বা সহকারী পরিচালক।
এছাড়া কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। নিয়োগ সুপারিশ কমিটি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল প্রস্তুত এবং নিয়োগের সুপারিশ করবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রয়োজনে একাধিক বোর্ড গঠন করা যাবে। প্রতিটি বোর্ডে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধির নেতৃত্বে তিন সদস্য থাকবে, যারা নবম গ্রেডের নিম্নে নয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বিধানের ফলে বেসরকারি স্কুল-কলেজে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে ন্যায্যতা নিশ্চিত হবে। এর ফলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে নিয়োগ কমিটি গঠনের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে এবং রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত প্রভাব হ্রাস পাবে। একইসঙ্গে সঠিক যোগ্য প্রার্থীরা নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ বাড়বে বলে তারা মনে করছেন।