বছরের শেষে এসে আলু কিনতেই পকেট খালি হচ্ছে ভোক্তাদের। পাইকারিতে প্রতি কেজি আলুর দাম উঠেছে ৪৬ টাকা পর্যন্ত। আড়তদারদের দাবি, করোনা ও বন্যার ত্রাণে আলু বিতরণে টান পড়েছে মজুদে। এতে গেল এক সপ্তাহে প্রতিদিনই দেড় থেকে দুই টাকা করে দাম বাড়িয়েছে তারা। তবে খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ চাল, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপণের দাম বাড়ানোর সুযোগ নিতেই আড়তদারদের এই কৃত্রিম সংকট।করোনায় আয় সংকটে থাকা নিম্ন ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো চাল লবণ আর আলু হলেই তিনবেলা কাটিয়ে দিতেন অনায়াসে। অথচ এখন এক কেজি আলু কিনতে গলদঘর্ম অবস্থা। গরিবের সবজি হিসেবে পরিচিত এই নিত্যপণ্যটির দাম পাইকারিতেই প্রায় ৫০ টাকা ছুঁইছুঁই।
আজ শনিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আলুর আড়তে গিয়ে দেখা গেলো, মুন্সিগঞ্জের আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৩ টাকায়; লাল আলু ৪১-৪২ টাকা আর রাজশাহীর আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়। সপ্তাহ ব্যবধানে আড়তদাররা কেজিতে ১০-১২ টাকা দাম বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন আলু কিনতে আসা খুচরা বিক্রেতারা।বিক্রেতারা জানান, পাল্লা নিয়েছে ২৩০ টাকা। আরো দাম বাড়তে আছে। গতকাল কিনেছি ৪০ টাকা। এর আগে কিনেছি ৩৮ টাকা। আজ কিনছি ৪৩ টাকা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে এক কোটি টন আলু উৎপাদনের বিপরীতে বার্ষিক চাহিদা ৭০ লাখ টন। সেই হিসাবে ৩০ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থাকলেও দাম বাড়ার জন্য সংকটের দোহাই দিচ্ছেন আড়তদাররা। আরেকজন বিক্রেতারা জানান, বন্যা ও মানুষের ত্রাণ দেওয়ার কারণে হঠাৎ করেই আলুর দাম বেড়েই গেছে। মোকাম ও আড়তেই আলুর দাম বাড়তি।আড়তদাররা বলছে, গেল বছরের এই সময়ে রাজধানীর পাইকারি বাজারে সব ধরনের আলু বিক্রি হয়েছে ১৮-২০ টাকা কেজি দরে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।