বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের টিকা আসার আগে মাস্ক-হ্যান্ড স্যানিটাইজারই টিকা। গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলোর মানুষ যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে, বাকিদের সুরক্ষা সহজ। গত মঙ্গলবার বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) প্রতিরোধে সচেতনতামূলক মতবিনিয়ম সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম-বার)। পরিবহন সেক্টরের প্রত্যেকে একেকজন যোদ্ধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৈনিক হিসেবে নিজেকে সুস্থ রেখে যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পরিবহন সেক্টর চাইলে দেশের বৃহৎ অংশ সুরক্ষিত রাখতে পারে। একটি মাস্ক প্রায় ৮০% জনগণকে সুরক্ষা দিবে। সুতরাং মাস্ক সঠিকভাবে নিজে পড়তে হবে এবং যাত্রীদেরকে মাস্ক পড়িয়ে গাড়িতে উঠাতে হবে। মনে রাখতে হবে করোনা প্রতিরোধ যুদ্ধ শুধু একার বিষয় নয়, এটা সবার। তাই সকলে মিলে নিয়ম পালন করতে হবে, নয়তো অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে, দেশ পিছিয়ে যাবে। সবাই এক হয়ে কাজ করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি নিরাপদ পরিবহন সেবা উপহার দেয়া সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, কল্যাণের নামে অগ্রহণযোগ্য কোন চাঁদা বা অনিয়মের অভিযোগ পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যাবতীয় অনিয়ম বন্ধে আমাদের ইন্টেলিজেন্স কাজ করছে।অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম বলেন, পরিবহন শ্রমিক ভাইয়েরা দেশের ক্রান্তিকালেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৃহৎ সেবা দিয়ে থাকেন। তবে নিজেকে সতর্ক রাখলেই হবে না, যাত্রীদেরও সচেতন করতে হবে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে বিভিন্ন পরিবহনে করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বিভিন্ন স্লোগানযুক্ত স্টিকার স্থাপন করেন।