কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোববার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত আনাস ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে আবারো দফায়-দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।এতে মোহাম্মদ ইয়াছিন (২৪) নামের আরো এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সে কুতুপালং ডি-৪, ২ ওয়েষ্ট ক্যাম্পের মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে বলে জানিয়েছেন ওই ক্যাম্পের হেড মাঝি মোঃ ওসমান।তিনি আরো বলেন,ক্যাম্প ২ ওয়েষ্ট ডি-ব্লকে রোববার রাতে মুন্না গ্রুপের ৪/৫ শত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দা-লাটিসোটা নিয়ে ক্যাম্পের শতাধিক ঝুপড়ি ঘর, ৫০ টি দোকানঘর ভাংচুর করেছে।
কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদ জানান, আনাস গ্রুপ ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে সংঘঠিত ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে কয়েক’শ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু কুতুপালং ক্যাম্প ছেড়ে অন্য ক্যাম্পে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে থাকা দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে বলে রোহিঙ্গা নেতারা জানিয়েছেন।
এদিকে গত ৫ দিনের ঘটনায় ক্যাম্পে ১ নারীসহ ৪ জন খুন হয়েছে। আহত হয়েছে ২৫ জনের বেশি রোহিঙ্গা নারি,পুরুষ,শিশু। এ নিয়ে ক্যাম্পে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দু,গ্রুপের মধ্যে হামলা,ভাংচুর,গুলাগুলির ঘটনা ঘটছে বলে রোহিঙ্গা মাঝি মোঃআয়ুব খান জানিয়েছেন।
এছাড়াও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা খুন, ধর্ষণ, মাদক পাচার, অস্ত্র ও স্বর্ণ ব্যবসার মতো অসংখ্য অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। বিশেষ করে মাদক ও অস্ত্র ও স্বর্ণ ব্যবসা নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতিরাতে ক্যাম্প গুলোতে শুনা যায় গুলির শব্দ।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়জিত ১৪ এপিবিএনের উপ-পরিদর্শক ইয়াসিন ফারুক জানান,নতুন এবং পুরাতন রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে খুনের ঘটনা গুলো ঘটছে।এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদের বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরো এক রোহিঙ্গা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে সে জানিয়েছেন।