প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০:১৬
বরিশালে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে রোগীর দালালরা।দেশে করোনা আঘাত হানার পরপরই বরিশালের বেশিরভাগ প্রাইভেট ক্লিনিকের চিকিৎসকগণ রোগী দেখা বন্ধ করে দেন। কেউবা আবার নিজস্ব চেম্বারে “রোগী দেখা বন্ধ” সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন।এমন পরিস্থিতিতে রোগীর দালালরাও পড়ে বেকায়দায়। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অনেক চিকিৎসকই এখন আবার চেম্বার ক্লিনিকে রোগী দেখা শুরু করেছেন।ফলে রোগীর দালালরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বরিশালে। আর তাদের প্রতারণায় নিঃস্ব হয় ভুক্তভোগীরা।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের অভিযানে একাধিকবার রোগীর দালালরা আটক হলেও তাদেরকে রোধ করা যাচ্ছে না।আইনের ফাঁক গলে জামিনে মুক্ত হয়ে ফের শুরু করে প্রতারণা। তবে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, রোগীর দালালদের ধরতে তাদের নিয়মিত অভিযান চলবে।সূত্রে জানা গেছে, বরিশালে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে ওঠা নামসর্বস্ব ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রোগী বাগাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে দালাল নিয়োগ করা আছে।অন্তত অর্ধ শতাধিক রোগীর দালাল রয়েছে নগরীতে। বিশেষ করে নগরীর গীর্জা মহল্লা, আগরপুর রোড, কাকলির মোড়, বাটারগলি, বিবির পুকুর পাড়, অশ্বিনী কুমার হল চত্বর, শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরিশাল সদর (জেনারেল) হাসপাতালের সামনে গেলেই চোখে পড়বে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য।
এছাড়া রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড, নথুল্লাবাদ ও লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় এ সব দালালদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা যায়। আর ওই সকল দালালদের প্রধান টার্গেট গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সহজ-সরল মানুষগুলো। যাদেরকে নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে নির্ধারিত ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ও চিকিৎসকের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানকার কথিত ডাক্তার দেখিয়ে কয়েক হাজার টাকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়।আর নির্দিষ্ট ওই সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে শতকরা ৩০-৪০ শতাংশ কমিশন পায় একেকজন দালাল।যে কারনে ডায়াগনস্টিকের দালাল চক্র অনেকাশেং হয়ে ওঠে বেপরোয়া।তবে জেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় ধরা পড়ছে রোগীর দালালরা।