মাটিরাঙা যুবলীগের উদ্যােগে জাতীয় শোক দিবস পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ৩০শে আগস্ট ২০২০ ০৮:১৩ অপরাহ্ন
মাটিরাঙা যুবলীগের উদ্যােগে জাতীয় শোক দিবস পালন

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের উদ্যােগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদদের ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে কোরআন খতম, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৩০ আগস্ট) বিকালের দিকে মাটিরাঙা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নিহত সকল শহীদের স্মরণে আয়োজিত শোক সভা অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন,মাটিরাঙা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম   হুমায়ুন মোরশেদ খান। 

মাটিরাঙা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এম হুমায়ুন মোরশেদ খান প্রধান অতিথির বক্তব্যেয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশকে হত্যা করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলন্ঠিত করে পাকিস্তানের ভাবধারার রাষ্ট্র পরিচালনা করা। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়ে বলেন, আগস্ট মাস আসলেই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু হয়। যুবলীগের নেতাকর্মীদের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহবান জানান তিনি।

মাটিরাঙা সদরের দলীয় কার্যালয়ে মাটিরাঙা উপজেলা যুব লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙা উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম খোন্দকার।

মাটিরাঙা পৌর যুব লীগের নেতা মো. সোহেল আফজল বাবু'র সঞ্চালনায় শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এম হুমায়ুন মোরশেদ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙা উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সুবাস চাকমা, মাটিরাঙা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও মাটিরাঙা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন লিটন প্রমুখ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পরেও খুনীদের তৎপরতা থেমে যায়নি উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, তারা গনতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার চেষ্ঠা করে। বক্তারা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছর হাতে সময় পেয়েছিলেন। এদেশকে মাত্র ৯ মাসে তিনি সংবিধান উপহার দেন। এই দেশের জন্য বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন বাজি রেখেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই ১২৬টা দেশ স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশকে। তাঁর নেতৃত্বেই আমরা জাতিসংঘ, ওআইসি ও কমনওয়েলথ এর সদস্যপদ লাভ করি। এত অল্প সময়ের মধ্যে কোনো দেশ এত অর্জন করতে পারেনি।

আলোচনা সভায় মাটিরাঙা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, মাটিরাঙা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. বাবুল আহম্মেদ, মাটিরাঙা উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. হারুন মিয়া, মাটিরাঙা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা মো. ওসমান গনি ও মাটিরাঙা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. আল আমিন ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।পরে দিবসটি উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নিহত সকল শহীদের স্মরণে দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

এর আগে সকালের দিকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মাটিরাঙা সদরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন মাটিরাঙা উপজেলা আওয়ামী যুব লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান ও মাটিরাঙা উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম খোন্দকার।