কালাবদর, তেতুলিয়া, গণেশপুরা নদীর অব্যাহত ভাঙনে দিশেহারা বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা। আর সেই নদী ভাঙনেই ২০১৭ সালে নির্মাণ হওয়া বিদ্যালয় ভবন এখন নদীগর্ভে বিলীন।জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের চরবগী চৌধুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বুধবার (২৬ আগস্ট) নদী ভাঙনে বিলীন হতে শুরু করে।এ বিদ্যালয়ের আশপাশের গ্রামের শতাধিক শিশুদের পাঠদানে মুখরিত ছিল। যদিও মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত কয়েকমাস ধরে সেই পাঠদান কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) বশিরুল হক।
তিনি জানান, ২০১৭ সালে আগে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম স্থানীয় উদ্যোগে কোনো রকম একটি টিনের ঘরে পরিচালনা করা হতো। ওই বছরই নতুন নির্মাণ হওয়া দ্বিতল পাকা ভবনটি পেয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ গ্রামের মানুষ অনেক খুশি হয়। তখন বিদ্যালয়ের পাশের নদীটিও বহু দূরে ছিল। এরপর গত দুই বছরের অব্যাহত ভাঙনে বিদ্যালয়ের ভবনটির কাছাকাছি চলে আসে নদী। আর এবারের ভাঙনে বিদ্যালয়ের ভবনটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বুধবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় শুরু হওয়া নদী ভাঙনে ধীরে ধীরে বিদ্যালয় ভবনটি বিলীন হতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে ভাঙন রোধে বিদ্যালয় সংলগ্ন নদীতে বালুর বস্তাও ফেলা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। চোখের সামনে বিদ্যালয়ের ভবনটি বিলীন হতে দেখা ছাড়া কারোই কিছু করার ছিল না।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চরবগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে একটি রাস্তা ছিল। প্রায় ১০ কিলোমিটার লম্বা ওই সড়কটির দু’পাশেই বহু বাড়ি-ঘরও ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে নদী ভাঙন এতোটাই তীব্র ছিল যে সেই রাস্তাসহ বাড়ি-ঘরের জমি সবই নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। কে জনপ্রতিনিধি, কে রাজনৈতিক নেতা, কে সাধারণ মানুষ কিছুই দেখেনি নদী।প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত শুধুমাত্র মেহেন্দিগঞ্জের শ্রীপুর ইউনিয়নেই তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।