প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২০, ২৩:৩৬
দেশের গণমাধ্যম সত্য প্রচারে শঙ্কিত নয় বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, গণমাধ্যম হলো চলমান সমাজের দর্পণ। তারা সত্য প্রচারে নির্ভীক।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘গণমাধ্যম সত্য প্রচারে শঙ্কিত’ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আজ এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন কাদের।ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাসের আগ্রাসী তাণ্ডবে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও প্রতিদিনের যাপিত জীবন পতিত হয়েছে এক অবর্ণনীয় সংকটে।
জীবনের পাশাপাশি জীবিকা এবং স্বাস্থ্যের ঝুঁকিও পৌঁছেছে চরম পর্যায়ে। করোনার ফলে সৃষ্ট সংকটময় এই সময়ে সাংবাদিক বন্ধুগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে চলেছেন। প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে সংবাদকর্মীরা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে অগ্রগণ্য। অধিকাংশ গণমাধ্যমের কর্মীরা দায়িত্বশীলতার সাথে ইতিবাচকভাবে কাজ করে চলেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল এইসব সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন আন্দোলনে সরকারবিরোধী প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সকল ক্ষেত্রে বিএনপি কীভাবে গুজব ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং গুজবভিত্তিক রাজনীতির বৈধতা দিয়েছে। সেই কারণে সংকটময় এই সময়ে জনগণের পাশে না দাঁড়ানো বিএনপির মিডিয়াবাজির রাজনীতিতেও ভাটা পড়ায় তারা গণমাধ্যমকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কর্মভীরু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বাক্যালাপে বীরত্ব প্রদর্শন করছেন।
সামরিক শাসনতন্ত্রের মোড়কে ১৯৭৯ সালের গণতান্ত্রিক নির্বাচনও দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছিল। সেই ইতিহাস এখনো বই-পুস্তক ও জাতীয় স্মৃতিতে জ্বলজ্বল। সুতরাং বিএনপির মুখে আর যা-ই হোক গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পরে অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা।সর্বোপরি বিবৃতিতে তিনি করোনা সংকট জয়ের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের আহ্বান জানান এবং পরম করুণাময়ের অশেষ কৃপায় এই সংকট আমরা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।