র্যাব-৯ এ দীর্ঘ দুই বছর কর্মরত থাকাকালীন শ্রীমঙ্গল র্যাব ক্যাম্পসহ বেশ কয়েকটি ক্যাম্পের কমান্ডার, করোনা রেসপন্স টিমের টিম লিডার, র্যাব-৯ এর অপারেশন অফিসারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পর শেষপর্যন্ত বিদায় সিলেট। আজ থেকে নতুন পরিচয়, নতুন গন্তব্য র্যাব সদর দপ্তর, ঢাকা।
এই দায়িত্বে থেকে আমি গত বেশ কিছু দিন সরাসরি করোনা রোগীদের নিয়ে ডিল করার সুযোগ পেয়েছি। তাদের চিকিৎসাসহ সার্বিক দেখভালের দায়িত্ব বর্তেছিলো এই অধমের কাঁধেই। অধিনায়ক মহোদয়কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ যে, এই সেন্সিটিভ দায়িত্বটি প্রতিপালনে তিনি আমার ওপর ভরসা রেখেছিলেন। কতটা সফল বা ব্যর্থ হয়েছি, সেই মূল্যায়নে যাব না।
শুধু এটুকুই বলবো, প্রথম লটে পজিটিভ হওয়া ১৩ জনের মধ্যে ১৩ জনই দ্বিতীয় টেস্টে নেগেটিভ হওয়া আমার এবং আমার টিমের জন্য অনেক বড় স্বস্তির বিষয় হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলো।স্বস্তির বিপরীতে খারাপ লাগছে আমার রোগীদের জন্য। তারা আমাকে মিস করবেন কিনা জানি না, কিন্তু র্যাব-৯ এর শেষ রোগীটি সুস্থ হবার আগ পর্যন্ত আমি তাদের কথা ভাবব, প্রতিমুহূর্তে তাদের কথা মনে করব। আর সিলেটের এই দুই বছরে অসংখ্য ভাই, বন্ধু, শুভার্থীর (নাম উল্লেখ করলাম না) ভালবাসা, সমর্থন পেয়েছি, আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আপনারা আমার ওপর এমন নিঃশর্ত আস্থা, বিশ্বাস ও সহযোগিতা বজায় রেখেছিলেন বলেই আমি জীবনের সিলেট অধ্যায়ে অর্জনের খাতায় সামান্য কিছু হলেও যোগ করতে পেরেছি।র্যাব-এর ঊর্ধ্বতন স্যারদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, তাঁরা জরুরিভাবে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে আমাকে আজ বিকেলেই ঢাকায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছেন।সবাই ভাল থাকবেন। ভাল থাকুক পুণ্যভূমি সিলেট। স্বাগতম ঢাকা।