লক ডাউনে অসহায় মানুষের পাশে যুবলীগ কর্মী সবুজ মৃধা
চীনের উহান প্রদেশ থেখে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনা ভাইরাসে গত ৮ মার্চ প্রথম বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়। সমগ্র দেশ এখন লকডাউনের আওতায়। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো। এহেন পরিস্থিতিতে বরিশালের জননন্দিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষ থেকে নগরীতে প্রায় ৫৩ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী নিজস্ব অর্থায়নে অসহায় মানুষগুলোকে ত্রাণ ও নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। বরিশাল মহানগর যুবলীগ (১নং ওয়ার্ড) মোঃ সবুজ মৃধা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় তিন শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণ ও নগদ অর্থ দিয়েছেন। সরেজমিনে ১নং ওয়ার্ড ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সমগ্র দেশে লকডাউন ঘোষণা করেন সরকার। বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্যদের পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা লকডাউন কার্যকর করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সমগ্র দেশের মতোই বরিশাল মহানগরে কর্মহীন হয়ে পড়ছে খেটে খাওয়া দিনমজুররা। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বরিশাল জেলা প্রশাসন, বরিশাল মেট্রো ও জেলা পুলিশ, স্থানীয় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা, গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষগুলোকে সাহায্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।
নগরীর ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কাউনিয়া এলাকায় ত্রাণের দাবীতে ইতিমধ্যে পরপর দুইবার বিক্ষোভ করেন সাধারণ মানুষ। তাদের অভিযোগ স্থানীয় কাউন্সিলর তাদের কোন খোঁজ খবর রাখছেন না। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর জানিয়েছেন এলাকাটিতে তার বিরোধী পক্ষ চক্রান্ত করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে একমাত্র সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর দেয়া ত্রাণ বিতরণের সময় নেতাকর্মীদের দেখা গেলেও পরবর্তীতের তাদের আর দেখা মিলছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, কাউন্সিলর আমির বিশ্বাসকে লকডাউন ঘোষণার পর আর এ এলাকায় তাকে দেখা যায়নি।
অপরদিকে স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, বরিশাল মহানগর যুবলীগ কর্মী মোঃ সবুজ মৃধা তার নিজস্ব উদ্যোগে করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। প্রথম পর্যায়ে তিনি ১৭৪টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ (চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ, তেল, লবন ও একটি সাবান) দিয়েছেন। গতকাল বুধবার পুনরায় দেড়শ পরিবারের মাঝে নগদ তিনশত টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। শহীদুল একজন শ্রমিক জানান, সবুজ মৃধা নেতা না হয়েও দিনমজুরদের পাশে দাড়িয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে শহীদুল আরো বলেন, শুধু আমি নই, আমার মতো অনেক শ্রমিককেই সবুজ মৃধা ত্রাণ ও নগদ অর্থ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মহানগর যুবলীগ কর্মী মোঃ সবুজ মৃধা বলেন, দক্ষিণ বাংলার সিংহ পুরুষ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর পক্ষে এক সময় তার পিতা তৈয়ব আলী মৃধাও কাজ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি নগর পিতা সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর পরিবারের মঙ্গল কামনায় অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলোর পাশে দাড়িয়েছেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নেতা বা নেতৃত্ব ছাড়াও জনগণের সেবা করা যায়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগকে যারা ভালবাসেন তারা যে যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসলে ওয়ার্ডের কোন মানুষ অভুক্ত থাকবে না। তিনি তার এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।