প্রকাশ: ৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২২
২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। দেশের সব শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হওয়ায় এখন চলছে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ঢাকাপোস্টকে এই তথ্য জানান।
তিনি জানান, ফল প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় সব কারিগরি কাজ চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশের জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১৮ অক্টোবরের মধ্যেই ফল প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ফল প্রকাশের চূড়ান্ত তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তারিখ নির্ধারিত হলে তা সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা ১৯ আগস্ট শেষ হয়। এরপর ২১ থেকে ৩১ আগস্ট ব্যবহৃত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এ বছর মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন।
পরীক্ষা দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারাদেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ২ লাখ ৯১ হাজার ২৪১ জন। এরপর রাজশাহীতে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৪২, কুমিল্লায় ১ লাখ ১ হাজার ৭৫০, যশোরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৩১৭, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৩৫ জন, বরিশালে ৬১ হাজার ২৫, সিলেটে ৬৯ হাজার ৬৮৩, দিনাজপুরে ১ লাখ ৩ হাজার ৮৩২ এবং ময়মনসিংহে ৭৮ হাজার ২৭৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থী রয়েছেন ৮৬ হাজার ১০২ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন শিক্ষার্থী।
পাবলিক পরীক্ষা আইনে বলা হয়েছে, লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হয়। তাই ১৮ অক্টোবরের আগে ফল প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। পরীক্ষার্থীরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে অনলাইনে ফল দেখতে পারবে।
শিক্ষাবোর্ড আশা করছে, ফল প্রকাশ প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও সময়মতো সম্পন্ন হবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যারা ফলের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন ও ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করতে পারবেন।
ফল প্রকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিশ্রমের ফলাফল জানতে পারবে এবং নতুন শিক্ষাজীবনের প্রস্তুতি শুরু করতে সক্ষম হবে। শিক্ষা বোর্ড পর্যবেক্ষকরা নিশ্চিত করছেন, ফলাফল নির্ভুল ও সঠিকভাবে প্রকাশ করা হবে।