প্রকাশ: ৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫২
সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতির কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। সংলাপের শুরুতে দেওয়া শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে আমরা ২১ লাখ মৃত ভোটারকে চিহ্নিত করেছি। এদের অনেকে আগেও ভোট দিতেন, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে ক্ষুণ্ন করত। এবার আমরা সেই অনিয়ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, কমিশন এমন একটি নির্বাচন চায় যা আয়নার মতো স্বচ্ছ হবে এবং যেখানে জনগণ তাদের মত প্রকাশে সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকবে।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের সহায়তা ছাড়া লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমান সুযোগের পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব নয়। গণমাধ্যমই পারে জনগণের আস্থা তৈরি করতে এবং অনিয়মের খবর পৌঁছে দিতে। তাই ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান সিইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার রোধে গণমাধ্যমকে সতর্ক থাকতে হবে। বিভ্রান্তিকর প্রচারণা ও ভুল তথ্য যেন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট না করে, সে বিষয়ে সবাইকে নজর রাখতে হবে।
তিনি জানান, আগামী নির্বাচনে প্রবাসী ও সরকারি চাকরিজীবীদের ভোটের আওতায় আনা হবে। প্রায় ১০ লাখ সরকারি চাকরিজীবী এবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। ইসি ইতোমধ্যেই তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সংলাপে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনারগণ, ইসির সচিব এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আলোচনায় সাংবাদিকরা নির্বাচনের স্বচ্ছতা, ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে স্বচ্ছতা রক্ষার বিষয়েও মতামত দেন।
এদিন দুপুর আড়াইটায় পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক সংলাপের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। প্রায় ৫০ জনের বেশি গণমাধ্যম প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল নারী নেত্রী ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আরও একটি সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, এই সংলাপগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো সবার মতামত শুনে একটি সর্বজনগ্রাহ্য রোডম্যাপ তৈরি করা। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, সংলাপে উঠে আসা গঠনমূলক প্রস্তাব ও মতামত কমিশন বাস্তবায়ন করবে এবং নির্বাচনের প্রতিটি ধাপে জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করবে।