প্রকাশ: ৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৬
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ দিনের মধ্যে আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী এবং বিডিআর ম্যাসাকার দিবসকে বিশেষভাবে অন্তর্ভুক্ত করছে। সরকারি উদ্যোগে প্রতি বছর যথাক্রমে ৭ অক্টোবর ও ২৫ ফেব্রুয়ারি এই দুটি দিন পালন করা হবে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়েছে, শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে ৭ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকাসহ দেশের সব শিল্পকলা একাডেমিতে ‘ইউ ফেইলড টু কিল আবরার ফাহাদ’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। ঢাকার প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন আবরারের বাবা।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের জীবন ও সৃষ্টিকে উদযাপনের জন্য একটি ক্যালেন্ডার তৈরির কাজ চলছে। এই ক্যালেন্ডারে শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক উৎসব নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে আগামী থেকে আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী ও বিডিআর ম্যাসাকার দিবস নিয়মিতভাবে সরকারিভাবে স্মরণীয় হবে।
জানা গেছে, প্রামাণ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে আবরারের জীবনের সঠিক ও সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরার উদ্দেশ্যে। এতে তার সংগ্রাম, শিক্ষার্থী জীবন এবং নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। এটি শুধু ইতিহাসের একটি স্মারক নয়, বরং ভবিষ্যতের প্রজন্মকে সতর্ক এবং সচেতন রাখার একটি মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহৃত হবে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আশা করছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের জনগণ রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর গুরুত্ব আরও উপলব্ধি করবে। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ন্যায়বিচার ও মানবিকতার শিক্ষা জাগ্রত হবে।
এছাড়া, ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানও নিয়মিতভাবে পালন করা হবে। এতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক সম্পদ সম্পর্কে সাধারণ জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
সরকারি এই উদ্যোগকে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ দেশের ইতিহাস সংরক্ষণ এবং ন্যায়পরায়ণতার শিক্ষা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আশা করছে, ভবিষ্যতে এই প্রথা মেনে প্রতিটি বছর আবরার ফাহাদ ও বিডিআর ম্যাসাকার দিবস যথাযথভাবে পালন করা হবে, যা দেশের নাগরিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন রাখবে।