প্রকাশ: ৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৯
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে প্রাথমিকভাবে কোনো শঙ্কা দেখা যাচ্ছে না। তবে নির্বাচন যেন গ্রহণযোগ্য হয়, সে বিষয়ে সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গুরুত্ব বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের অধিবেশন শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি অনুযায়ী সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনার দাবি জানান।
ডা. তাহের বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হওয়া উচিত। একটি গণতান্ত্রিক জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার দেশের জন্য অপরিহার্য। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই দেশের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে পারে।
জামায়াত নেতা আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে কোনো ধরনের ভিডিও বা তথ্য বানানো সম্ভব। সাধারণ মানুষ এসবের সত্যতা বোঝার ক্ষমতা রাখে, তাই বিভ্রান্তিকর প্রচারণার প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে সরকারি প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে তিনি বাংলাদেশকে উপস্থাপন করেন। এ সফরের সময় চিকিৎসার জন্যও কিছু সময় বের করেছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, তার নামে কিছু গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যা ভিত্তিহীন।
জাতিসংঘ সফরের সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নিউইয়র্কে পাঁচজন রাজনৈতিক নেতা অংশ নেন। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, এনসিপি সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
ডা. তাহের মনে করান, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অপরিহার্য। সরকারের উচিত জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করা। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এসব সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচন স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের প্রতি আস্থা রাখবে এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত হবে। এই ধরনের সুষ্ঠু উদ্যোগ দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।