করোনায় ঋণ পেতে ২৮০০ আইনজীবীর আবেদন
করোনাভাইরাসের কারণে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি থেকে ঋণ নিতে অবেদন করেছেন ২ হাজার ৮০০ আইনজীবী। সমিতির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৮ হাজারের মতো। গত ২৫ এপ্রিল এ আবেদন দাখিলের সময় সীমা শেষ ছিল। আগামী ১৫ মের মধ্যে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নিজেদের সদস্যদের ঋণ দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। গত ১৫ এপ্রিল এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, দুই হাজার ৮ শতাধিক আইনজীবী আবেদন করেছেন। ঋণ দেয়ার জন্য এখন আমরা পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করব। এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। আমাদের কমিটির পক্ষ থেকে প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। তারপর প্রয়োজনীয়তা অনুসারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কী পরিমাণ ঋণ এবং কতজনকে দেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ সমিতির গোপনীয় ব্যাপার। সংখ্যা বলা যাবে না।
আদালত বন্ধ থাকার কারণে অনেক আইনজীবী আছেন যারা বেকার হয়ে পড়েন। বিশেষ করে নবীন, জুনিয়র ও অসুস্থ আইনজীবী যারা আছেন, তাদের অবস্থা করুণ। এ অবস্থায় দক্ষিণবঙ্গ আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ খসরুজ্জামানসহ বিভিন্ন আইনজীবী নেতারা বার কাউন্সিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন। এক পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, ঢাকা আইনজীবী সমিতি ও আইন মন্ত্রণালয় সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। উল্লেখ্য, সারা দেশের ৬৪টি বারে অর্ধলাখের ওপরে আইনজীবী রয়েছেন।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি আদেশের সঙ্গে মিল রেখে আদালত অঙ্গনও বন্ধ রয়েছে। কেবল জরুরি প্রয়োজনে প্রত্যেক জেলায় একটি করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট খোলা রয়েছে। এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল স্বল্প পরিসরে কোর্ট চালু করতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেন। এছাড়া একাধিক সমিতিসহ কয়েকজন আইনজীবী প্রধান বিচারপতি বরাবরে সীমিত পরিসরে কোর্ট খুলে দিতে আবেদন করেন। কিন্ত সুপ্রিম কোর্ট শেষ পর্যন্ত সরকারি আদেশের সঙ্গে মিল রেখে আদালত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।