প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, যারা এসব লিফলেট বিতরণ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং গ্রেপ্তার করা হবে। তার মতে, লিফলেটে থাকা লেখা অত্যন্ত আপত্তিকর এবং দেশের জনগণের শান্তি নষ্ট করছে।
এসময় শফিকুল আলম আরও বলেন, আওয়ামী লীগের প্রচারণা তাদের জন্য নতুন কিছু নয়, তবে বর্তমানে যেসব লিফলেট বিতরণ হচ্ছে তাতে রাজনৈতিক সহিংসতার উসকানি রয়েছে। তিনি এও মন্তব্য করেন, যারা এই কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তাদেরকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। এই প্রসঙ্গে, তিনি ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগ তুলে বলেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ২৩ জন মৃত্যুর কথা বললেও পুলিশ তদন্তে তেমন কোনো ঘটনার সন্ধান পায়নি।
শফিকুল আলম সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি করেন যে, ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে ১৭৪টি ঘটনা ঘটে, কিন্তু পুলিশ তদন্তে সেগুলোও মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। তার মতে, এই ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রচার জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ সৃষ্টি করছে।
এদিকে, সচিবালয়ে শহীদ দিবস সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা সভা ও কোর কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তিতুমীর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, রেললাইন অবরোধের কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এই ধরনের আন্দোলন জনগণের সহ্যক্ষমতা শেষ করে দিয়েছে, এবং জনগণই তাদের এসব আন্দোলন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের নামে জনগণের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয় জনগণ ক্ষুব্ধ হয়েছে, এবং তারা অবশ্যই তাদের এসব কাজ থেকে বিরত রাখবে।
এমনকি, সরকারের পক্ষ থেকে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে কঠোর মনোভাব গ্রহণ করা হয়েছে এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন দফতরের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারের এই কঠোর মনোভাব থেকে স্পষ্ট যে, জনগণের অসুবিধা সৃষ্টি করা কোনভাবেই সহ্য করা হবে না।
এছাড়া, সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের আন্দোলন এবং লিফলেট বিতরণের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এর ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা বা জনসমাগম সৃষ্টি করতে না পারলে দেশে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।
অতএব, জনগণের এই প্রতিবাদী মনোভাব দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।