ভোলার তজুমদ্দিনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পরে ধর্ষিতা বাদী হয়ে ২ জনকে আসামী করে তজুমদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে জেলা হাজতে প্রেরণ করেন। ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ খাসেরহাট শম্ভুপুর ৫নং ওয়ার্ডের আবুল হাসেমের যুবতী মেয়ের (১৯) সাথে একই এলাকার নানা বাড়িতে থাকা লালমোহন উপজেলার আবুল কালামের ছেলে মোঃ শহিদ (২৫) এর সাথে ২ বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সুবাদে গত ১৮ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২ টায় প্রেমিককে বাসায় একা পেয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হোন্ডা যোগে লালমোহন তার আত্মীয় ইতু বেগমের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় ইতু বেগমের সহযোগীতায় শহিদ প্রেমিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
পরে গত ২৬ এপ্রিল ৮দিন পর শহিদ তার প্রেমিকাকে নিয়ে তজুমদ্দিন আসলে স্থানীয়রা বিয়ের কাগজপত্র দেখতে চায়। বিয়ের কাবিন নামা দেখাতে না পারায় তারা থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ ধর্ষকসহ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ধর্ষিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষক শহিদ ও ইতু বেগমকে আসামী করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ধর্ষককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলা হাজতে প্রেরণ করেন। মামলা নং ০৯। ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভোলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানতে চাইলে তজুমদ্দিন থানার ওসি (তদন্ত) এনায়েত হোসেন বলেন, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে, আসামী গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।