সৌদি জনশক্তি রপ্তানিতে ভয়াবহ অশনি সংকেত। বায়রা জানিয়েছে বাংলাদেশে বিভিন্ন অফিসে প্রায় এক লক্ষ কর্মী ভিসা পাসপোর্টে সিল মারা অবস্থায় আছে। এজেন্টদের কাছ থেকে প্রাপ্য তথ্যে জানা গেছে, এছাড়া অব্যবহৃত ভিসার সংখ্যা আরো এক লক্ষের মতো হবার কথা। তারা আরো জানিয়েছেন, পাইপ লাইনে আরো একলক্ষ ভিসা থাকার কথা যেগুলির অর্ডার এখনো বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়নি।
সৌদি সরকারের স্ট্যামপড ভিসার ফি ফেরত দেয়ার অর্থ হচ্ছে যে যেসব কর্মীর সৌদি যাবার কথা তাদের যাওয়া পিছিয়ে গেলো। আপাততঃ কারন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ এই কারণে তারা ফি ফেরত দিচ্ছে। যারা সৌদি আরবে কর্মরত আছেন তাদের অবস্থা কি হবে তা নিয়ে সৌদি সরকার কিছু জানায়নি। কিন্তু সৌদি তেল বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং মূল্য কমে যাওয়ায় সৌদি অর্থনীতি প্রায় স্থবির হয়ে পড়ছে। এমতবস্থায় বিপুল পরিমাণ বিদেশি কর্মী তাদের দেশে পোষার কোন যৌক্তিক কারণ তাদের নাও থাকতে পারে।
বাংলাদেশের অধিকাংশ কর্মীরা যেহেতু নগর- পরিচ্ছন্নতার মতো অত্যাবশ্যকীয় কাজে নিয়োজিত আছে তাই বাংলাদেশ কর্মীরা হয়তো সম্ভাব্য গন-প্রত্যাবর্তন থেকে বেঁচে যেতে পারে। তবুও বাইশ লক্ষ কর্মীর অর্ধেকও ফেরত আসলে আমাদের রেমিটেন্স মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আসছে কিছু দিনেই পরিষ্কার হবে সব কিছু।
করোনা পরবর্তী পৃথিবী আগের মতো শুরু হতে হয়তো সময় লাগবে। কিন্তু মানুষ সংগ্রাম করে আবার একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এজন্যেই আমরা সৃষ্টির সেরা, যারা আবার তাদের স্রষ্টাকে নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামাতে রাজী নয়। সেখানেই স্রষ্টার অসন্তুষ্টি। আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে তাকে খুশি করার চেষ্টা করি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।