পৌষের প্রথম সপ্তাহে হঠাৎ করেই এবার শীতের দাপট বেড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার হাওর সরাইল উপজেলায় কাঁচের মতন স্বচ্ছ শিশিরবিন্দুগুলো ভর করেছে সবুজ প্রকৃতিতে। শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ টানা তিন-দিন।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) শীত কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু শীতের প্রকোপ কমেনি। ভোর থেকে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সরাইল। ভোরে সূর্যোদয় হলেও তার কিরণ বিকোশিত হতে পারেনি শীতল এই প্রকৃতিতে। তাই বেলা যখন একটা তখনও সরাইল উপজেলা বিরাজ করছে ভোরের আভা। ভোর থেকে ঘন কুয়াশার কারণে আশপাশের কিছু দেখা যাচ্ছে না। কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে গ্রামের পাকা ধানের ক্ষেত, শহরের পিচঢালা পথ।তাছাড়া গরীব ও শ্রমজীবি মানুষের শীত উপেক্ষা করে শ্রম বিক্রী করতে পারছেনা।
এদিকে শীত নিবারনের জন্য নিম্ন আয়ের লোকজন ফুটপাথের পোষাকের দোকানে ভীড় করছেন। এমনকি ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আগুন জ্বেলে শীত নিবারণের দৃশ্যও চোখে পড়ার মত।
গতদিন যাবত সুর্যেও দেখা না মেলায় শীতের পাশাপাশি বাতাসের কারনে শীতের তীব্রতা খুব বেশিই। বাবুল ও রাকিব নামে অনেক ভ্যান চালক বলেন, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারনে মানুষ সহজে রাস্তায় বের হচ্ছেন না। ঘন কুয়াশার জন্য সড়কে গাড়ি চালাতে অসুবিধা হয়, একটু অসতর্কতার কারনে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
স্কুল ছাত্র মীর, কাদের মারুফ বলেন, কনকনে শীতে শরীরের কাপুনি বেড়ে যায়। স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয়। বর্তমানে স্কুল বন্ধ থাকার কারনে বাসা থেকে বের না হওয়ায় কিছুটা স্থস্তি পাওয়া যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।