বাউফলে স্কুল শিক্ষকের কুকর্ম নিয়ে আলোচনার ঝড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ২৭শে ডিসেম্বর ২০১৯ ০৮:৫৬ অপরাহ্ন
বাউফলে স্কুল শিক্ষকের কুকর্ম নিয়ে আলোচনার ঝড়

স্কুল শিক্ষক নিজাম উদ্দিন অন্তরালে নানা কর্মকান্ড ঘটিয়ে অবৈধ টাকা উপার্জন করে আসছে। নারী বিলাসী নিজাম কামাত্তোজনা পূরন করছে বিভিন্ন উপায়ে। কে এই স্কুল শিক্ষক! ঢাকা আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল শিক্ষক নিজাম উদ্দিন। পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউপি’র ভরিপাশা গ্রামের সুলতান আহম্মেদ এর পুত্র। 

একাধিক সূত্রে জানাগেছে, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের জনৈক শিক্ষকের সাথে তার রয়েছে ব্যবসায়ী, আর্থিক সম্পর্ক। ওই স্কুল শিক্ষকের সহযোগিতায় কৌশলে স্কুলে ভর্তি বাণিজ্য করে প্রতি বছর ৫০ লক্ষ টাকার উপরে কামিয়ে নেয়। শিক্ষকের প্রিয়ভাজন হাওয়ায় সবকিছুই তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে সক্ষম নিজাম উদ্দিন।

ঢাকা শহরে নিজাম উদ্দিন আর্মি ও পুলিশের বড় বড় কর্তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়ায়। এদের নাম ভাঙ্গিয়ে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক প্লট ও ফ্লাট ক্রয় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এবং নিজাম উদ্দিন এমপি, মন্ত্রীদের সাথে ছবি তুলে একটি নতুন ব্যবসা খুলেছে। হরুধস ঁফফরহ ফেইসবুকই আইডি তার প্রমান।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, নিমাজ উদ্দিন প্রথমে বিয়ে করে পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার আমতলা গ্রামের আমতলা মাদরাসার সুপার মালেক সাহেবের মেয়ে নাবিলা কে। নিমাজ উদ্দিন পরকিয়ায় জড়িয়ে পরা ও স্ত্রীর কাছে প্রকাশ পাওয়ার তিন বছর পর থানা পুলিশ ম্যানেজ করে নাবিলাকে তালাক দেয়। 

প্রেমের ফাদে ফেলে দ্বিতীয় বিয়ে করে বাউফল উপজেলার সূর্য্যমনি ইউনিয়নের মেয়ে আখি আক্তার কে। দু’বছর সংসার করার পর পূনরায় সে পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে ও স্ত্রীর কাছে ধরা পরায় আখিকেও তালাক দেয় নিমাজ উদ্দিন। নারী ভোগ বিলাসী নিজাম উদ্দিন বর্তমানে তার চাচাতো বোন তাওফা কে বিয়ে করার পায়তারা চালাচ্ছে। নিজাম উদ্দিনের ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না পরিবারগুলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী জানান, নামকরা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে এরকম বার বার বিয়ে করা আর তালাক দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির সুমান ক্ষুন্ন হচ্ছে। তেমনি আদর্শ শিক্ষকের গায়ে কালি মাখছেন। তাই নিজাম উদ্দিনের কু-কর্ম নিয়ে তার এলাকা ভরিপাশা গ্রামে কয়েকদিন পর্যন্ত চলছে আলোচন ঝড়। 

এ প্রসঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রী আখি আক্তার জানান, বিয়ের পর হতেই টালবাহানা শুরু করে নিমাজ উদ্দিন। ৬ ডিসেম্বর ২০১৯ তার ঢাকার বাসায় শিক্ষক আবুল হোসেন স্যার ও স্থানীয় এক নেতা পাঠিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব