ময়মনসিংহ থেকে সব পথে বাস বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১০ই ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:০৯ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহ থেকে সব পথে বাস বন্ধ

বিআরটিসির বাস বন্ধের দাবিতে ময়মনসিংহ থেকে সব পথে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকনেতারা। এর আগে এ নিয়ে দু'পক্ষের দ্বন্দ্বে হাতাহাতিতে তিনজন শ্রমিক আহত হন। এদিকে হঠাৎ করে্ই বাস চলাচাল বন্ধ করে দেয়ায় ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি ঢাকাসহ সব জেলাগামী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। তারা বিকল্প যানে বাড়তি ভাড়া দিয়ে এখন গন্তব্যে পৌঁছাতে বাধ্য হচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে ময়মনসিংহ শহর থেকে বিভিন্ন উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে বিআরটিসির বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ থেকে মুক্তাগাছা রুটে ১০টি, ফুলপুর রুটে ১০টি এবং কিশোরগঞ্জ রুটে ৮টি এবং নতুন বিআরটিসি বাস যুক্ত হয়েছে। এসব বাস ইজারার মাধ্যমে চলাচল করছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনা রুটে আরও ১০টি বিআরটিসি বাস চালু হয়। কিন্তু পরিবহন শ্রমিকদের বাধায় চার ঘণ্টার মাথায় ওই বাস সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ পথে চালুর মাত্র চার ঘণ্টার মাথায় বিআরটিসির বাস বন্ধের প্রতিবাদে সোমবার নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। তারা বলেছেন, এই রুটে দ্রুত বিআরটিসির বাস চালু না হলে মালিক সমিতির কোনো বাসও চলতে দেয়া হবে না।

বিআরটিসির বাসগুলো ময়মনসিংহ শহরের পাটগুদাম আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল হয়ে চলাচল করে। সাধারণ শ্রমিকদের দাবি, এসব বাস কোনো নিয়ম মানে না। এতে সাধারণ গণপরিবহনে যাত্রী কমেছে। পাশাপাশি বিআরটিসির বাস যত্রতত্র পার্কিং করায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

এ অবস্থায় সোমবার সকালে পাটগুদাম আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে বিআরটিসির বাস চলাচলে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন সাধারণ গণপরিবহনের শ্রমিকরা। এ নিয়ে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সেখানে বিআরটিসি শ্রমিকরা তিনটি বাস রেখে চলে যান। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় উত্তেজনার সময় হাতাহাতিতে তিনজন শ্রমিক আহত হন। সাধারণ শ্রমিকদের দাবি, বিআরটিসির শ্রমিকদের মারধরে তারা আহত হয়েছেন। এ অবস্থায় বেলা তিনটা থেকে জেলা মোটর শ্রমিক সমিতির নেতারা ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাসহ সব জেলায় বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন।

ইনিউজ ৭১/এম.আর