১০ বছরেই হাড় ভেঙেছে ৩২ বার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ৯ই ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:০৮ অপরাহ্ন
১০ বছরেই হাড় ভেঙেছে ৩২ বার

লাবিদ আল লিখন। বয়স মাত্র ১০ বছর। মিষ্টি মুখে মিষ্টি হাসি। কিন্তু যে বয়সে শিশুরা পরিবারের সদস্য, স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে দুষ্টুমিতে মেতে থাকে সারাক্ষণ, সেই বয়সে ভালো করে দাঁড়াতেও পারে না সে। বসা অবস্থা থেকে হেলে পড়লেও হাড় ভেঙে যায়।

‘অস্টিও জেনেসিস ইম্পারফেক্টা’ নামে জটিল ও বিরল রোগে আক্রান্ত লিখনের এ বয়সেই হাত-পায়ের হাড় ভেঙেছে ৩২ বার। ছোট্ট বয়সে তীব্র ব্যথায় কুঁকড়ে যায় লিখন। হাসতে চাইলেও হাসতে পারে না সে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লিখনের হাসি ফোটাতে প্রয়োজন ৩ লাখ টাকা।

লিখনের বাবা আবদুল ওয়াহাব সামান্য একজন অফিস সহকারী। তিন সন্তানের মধ্যে লিখন সবার ছোট। ২০১২ সাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের অর্থপেডিকস বিভাগে চিকিৎসা চলছে লিখনের। গত সাত বছরে তার চিকিৎসার জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮ লাখ টাকা। লিখনের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন আরও ৩ লাখ টাকা। সন্তানের সুস্থতার জন্য হৃদয়বান ব্যক্তিদের হৃদয় প্রসারিত করার আহ্বান জানিয়েছেন আবদুল ওয়াহাব।

তিনি বলেন, লিখনের হাড়গুলো নরম। ফলে বাঁকা ও শক্ত হচ্ছে না এবং স্বাভাবিক বৃদ্ধিও নেই। ২০১৭ সালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পায়ে টেলিস্কোপিক নেইল বসানো হয়েছে। ফলে পা এখন স্বাভাবিক। তিনি জানান, বর্তমানে লিখনের হাতে অস্ত্রোপচার করা হবে। এজন্য প্রয়োজন আরও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। পুরোপুরি সুস্থ হতে প্রয়োজন ৩ লাখ টাকা। ছোট্ট শিশু লিখনের মুখে একটু হাসির জন্য নিরন্তর ছুটে চলছেন তার বাবা। লিখনের হাসির জন্য আপনারাও দাঁড়াতে পারেন তার পাশে।

পিতা: আবদুল ওয়াহাব
হিসাব: ০০১২১০০০০০৩১৫
সাউথ-ইস্ট ব্যাংক লি., মৌচাক, ঢাকা।
বিকাশ: ০১৯১৭৫৮৯৮৬৮, ০১৯৩৭৮১০৮৮১

ইনিউজ ৭১/এম.আর