উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। হামলার জন্য ‘উপাচার্যপন্থী শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের’ দায়ী করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আহতদের কমপক্ষে ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণার পরও তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা যাতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারেন এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারা বলেন, বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের বাইরে সোবহান সড়কে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় উপাচার্যপন্থী লোকজন। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
হামলার বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আশিকুজ্জামান ভূঁইয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও অনশনের তৃতীয় দিন শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করে প্রশাসন। একইসঙ্গে সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ১২টার দিকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সেগুলো বাস্তবায়নের দাবি জানায়। শিক্ষার্থীদের ঘোষিত দাবি মেনে নিয়ে গভীর রাতে এক অফিস আদেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে অসন্তোষ প্রকাশ করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা আন্দোলন শুরু করে। জিনিয়া ডেইলি সান পত্রিকার প্রতিনিধি। সাংবাদিকদের আন্দোলনের মুখে বুধবার জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।