বোরহানউদ্দিনে ধর্ষকের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ২৫শে আগস্ট ২০১৯ ০৪:১০ অপরাহ্ন
বোরহানউদ্দিনে ধর্ষকের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ৪৬ নাম্বার পক্ষিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার আসামি মুজাম্মল হকের অবিলম্ভে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে স্কুল সংলগ্ন সড়কে ওই স্কুল ও পার্শ্ববর্তী পক্ষিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  পরিচালনা কমিটির সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী ওই মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে পক্ষিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও পক্ষিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া সহ অন্যান্য বক্তারা গত চার আগস্টের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর ছয় আগস্ট ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করার পরও ধর্ষক মুজাম্মেল প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ পুলিশের নিষ্ক্রিয়। তারা পুলিশের ভূমিকার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্ভে মুজাম্মেলের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করেন। 

ধর্ষিত ছাত্রী পক্ষিয়া ইউনিয়নের আট নাম্বার ওয়ার্ডের মো. নুরউদ্দিনের মেয়ে। ধর্ষক মুজাম্মেল একই এলাকার মৃত সাহাজল মাঝির ছেলে। মামলার বাদী ছাত্রীর মা মোসা. সুমা বেগম জানান, গত চার আগস্ট বিকাল তিনটার দিকে তার মেয়ে স্থানীয় টিটু মাস্টারের কাছে পড়তে রওয়ানা হয়। ওই ইউনিয়নের আট নাম্বার ওয়ার্ডের মিলঘর বাজারের মুজাম্মেল হকের দোকানের সামনে পৌছলে মুজাম্মেল জোর করে যৌন নির্যাতন চালায়। ওই স্থান থেকে ফিরে তার মেয়ে তাকে সব জানায়। তখন তিনি  মেয়ের গোপনাঙ্গে মুজাম্মেলের অত্যাচারের ক্ষত চিহ্ণ দেখতে পান।

পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ মাসের ছয় তারিখে তিনি বাদী হয়ে মামলা করলেও আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি তার মেয়ের উপর নির্যাতনের বিচার দাবী করেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলমগীর জানান, তারা মানববন্ধন করলে আমার করার কিছু নাই। আমি আসামী খোঁজার চেষ্টা করেছি, তারা তথ্য দিলে আমি গ্রেফতার করে নিয়ে আসবো। এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি(চলতি দ্বায়িত্ব) মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, ঘটনাটি তার জানা নেই, তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। এসপি(সার্কেল) রাসেদুর রহমান জানান, আসামীদের একজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে, অন্যজনকে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।