টেকনাফে পাহাড় ধস ও পানির ঢলে তিন শিশুর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
আমান উল্লাহ কবির, উপজেলা প্রতিনিধি টেকনাফ (কক্সবাজার)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১০ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৭:২৮ অপরাহ্ন
টেকনাফে পাহাড় ধস ও পানির ঢলে তিন শিশুর মৃত্যু

টেকনাফে টানা প্রবল বর্ষনে পাহাড় ধ্বস ও চারদিকে খাল-বিলে পানি থৈ থৈ করছে। পাহাড়ের মাটি চাপায় ও পানির ঢলে ভেসে গিয়ে তিন শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। আহত হয়েছে অন্তত আরো ১২ জন। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও মৎস্য ঘেঁরের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলো, টেকনাফের পুরান পল্লান পাড়ার মুহাম্মদ আলমের মেয়ে আফিয়া (৫), একই এলাকার রবিউল হাসানের ছেলে মেহেদী হাসান (১০) ও ৪ নং ওয়ার্ডের আব্দুল গফুরের ছেলে মোঃ খায়রুল। খায়রুল পানির  স্রোতে পড়ে ভেসে গিয়েছিল। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

টেকনাফ উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ রবিউর হাসান জানান, টেকনাফের পুরান পল্লান পাড়ার মুহাম্মদ আলম ও রবিউল হাসান পরিবার পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করে আসছিল। মঙ্গলবার ভোররাতেও ভারী বর্ষন হলে বাড়ির উপর পাহাড় ধ্বসে পড়ে। এতে দুই বাড়ির দুই শিশু মাটি চাপায় ঘটনাস্থলে মারা যায়। বাকিদের মাটি চাপা থেকে বের করে হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, তার নেতৃত্বে সিপিপি ও টেকনাফ উপজেলার স্বেচ্ছাসেবকেরা উদ্ধার অভিযানে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও অংশ নেন।


এদিকে সকাল হতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশেষ টিম নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানের পাহাড় ও টিলায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার অভিযানে নামেন এবং মাইকিং করে যাচ্ছেন।  টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, বেশ কয়েকজনকে আশংকাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মাঝে শিশু রয়েছে।  টেকনাফ থানার পুলিশের ওসি তদন্ত এবিএম এস দোহা জানান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ ছুটে যায়। 

এদিকে ব্যপক ভারী বর্ষণে বেশ কিছু বাড়ি ঘর, মৎস্যঘের ও রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে পাহাড়ে বসবাসরত কয়েকটি বাড়ী ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। এতে লালু, আবু ছিদ্দিক ও নুরুল ইসলামের বাড়ীর আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তবে হাতহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। এই টানা বর্ষণে উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা, টেকনাফ পৌরসভা, সদর, সাবরাং ও বাহারছড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে প্রায় শতাধিক বসত-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। স্ব স্ব এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সরেজমিনে পরিদর্শনে রয়েছেন।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব