শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম এনডিসি বলেছেন,বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত মিয়ানমারে ফিরতে কোনো রোহিঙ্গা রাজি হয়নি।তিনি আরো বলেছেন,রোহিঙ্গাদের রাজি করাতে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।রোহিঙ্গারা রাজি হলেই যেকোন দিন প্রত্যাবাসন শুরু হবে।এ ব্যাপারে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম।রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায় প্রত্যাবাসন শুরু হবে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন আবুল কালাম।শুরুতেই টেকনাফের কেরুনতলী নৌঘাট দিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের কথা ছিল।পানি পথে ঝুঁকি মনে করে নৌ-পথ ছাড়াও স্থলপথ দিয়েও হতে পারে বলে প্রত্যাবাসন এমনটাই সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিলেন।তাতে উখিয়ার পাশের ঘুমধুম সীমান্ত পয়েন্টের লাল ব্রীজ দিয়ে স্থলপথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কথা থাকলেও এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি ছিল।ঘুমধুম সীমান্ত স্থল পথ বাংলাদেশ -মিয়ানমার মৈত্রী সড়কে বিজিবি'র স্তরে-স্তরে প্রহরী ছিল।এছাড়াও টেকনাফের শাল বাগান ক্যাম্প থেকে প্রত্যাবাসনের জন্য তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের প্রস্তুতিতে গাড়ির বহর ছিল।কিন্তু তালিকায় থাকা রোহিঙ্গারা রাতেই অনেকেই গাঁ ঢাকা দেয়।কছু-কিছু থাকলেও তাঁরা সাঁফ জানিয়ে দেয় তাদের দেওয়া শর্ত মানলেই মিয়ানমারে ফিরে যাবেন।
এদিকে ঘুমধুম সীমান্ত স্থলপথে সরেজমিনে ২২ আগষ্ট ( বৃহস্পতিবার )সকাল থেকে গিয়ে প্রত্যাবাসনের কোন চিত্র দৃশ্যমান ছিলনা।রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের জুড়ে দেওয়া শর্ত নাগরিকত্ব প্রদান, ভিটে-বাড়ি ও জমি-জমা ফেরত, আকিয়াব জেলায় আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের নিজ বাড়ীতে ফেরত, কারাগারে বন্ধি রোহিঙ্গাদের মুক্তি, হত্যা, ধর্ষনের বিচার, অবাধ চলাফেরা, নিরাপত্তা প্রদানসহ একাধিক শর্ত পূরণ না হলেই স্বদেশ ফিরবেনা রোহিঙ্গারা। অনেকটা শংকার বেড়াজালের মধ্যেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কার্যক্রম এগিয়ে চলছিল। রোহিঙ্গাদের ঘরে ঘরে ইউএনএইচসিআর’র লোকজন গিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন ২২ আগস্ট স্বদেশে ফিরে যাওয়ার বার্তা। এসময় কয়েক শর্ত জুড়ে দিচ্ছে রোহিঙ্গারা। শর্ত পূরণ না হলেই ফিরবেনা। এসব শর্ত মেনে নিলেই স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরবে। নইতো এদেশে প্রাণ দেবে তবু ফিরবেনা। শর্তের মধ্যে নাগরিকত্ব প্রদান, ভিটে-বাড়ি ও জমি-জমা ফেরত, আকিয়াব জেলায় আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের নিজ বাড়ীতে ফেরত, কারাগারে বন্ধি রোহিঙ্গাদের মুক্তি, হত্যা, ধর্ষণের বিচার, অবাধ চলাফেরা, নিরাপত্তা প্রদানসহ একাধিক শর্ত রয়েছে।প্রসঙ্গতঃ প্রত্যাবাসনের শুরুতেই ৩৪৫০ জন রোহিঙ্গা যাওয়ার চুড়ান্ত কথা ছিল।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।