চলতি বছর পবিত্র হজ পালনে নিবন্ধনকৃতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ম্যানিনজাইটিস/ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা দান কর্মসূচি শুরু হয়েছে আজ (রোববার)। রাজধানীসহ সারাদেশে সকাল থেকেই সরকারি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে চিকিৎসক ও নার্সরা আগতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে টিকা কর্ণারে ম্যানেনজাইটিস/ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য পাঠাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আজ প্রথম দিন হওয়ায় রাজধানী ঢাকা ও বাইরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আগতদের সংখ্যা ছিল খুবই কম। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল-২ এর দ্বিতীয় তলায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকাদান কক্ষে বেলা ১১টা পর্যন্ত মাত্র ২০ জন হজগমনেচ্ছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা নিতে আসেন। এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চলতি বছর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাবার সময় হজগমনেচ্ছুদের সরকারি হাসপাতাল/সরকার অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে বুকের এক্স-রে, ইসিজি, রক্তের গ্রুপ, ইউরিন আর/ই, ব্লাড সুগার পরীক্ষার প্রতিবেদন নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
গত তিনমাসের মধ্যে এসব পরীক্ষা করা হয়ে থাকলে সেই প্রতিবেদন সঙ্গে রাখতে বলা হয়। তাদের নতুন করে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলেও ওই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও বেসরকারি হজযাত্রীদের স্ব-স্ব হজ এজেন্সির মাধ্যমে ই-হেলথ প্রোফাইল ফরমের প্রিন্ট কপি এবং সরকারি হজযাত্রীদের নিকস্থ রেজিস্ট্রেশন সেন্টার (ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ইউডিসি, আশকোনাস্থ হজ অফিস) হতে ই-হেলথ প্রোফাইল ফরমের প্রিন্ট কপি অথবা নিবন্ধন সনদ নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা দেয়ার পর হজগমনেচ্ছুদের স্বাস্থ্য সনদ নিজ নিজ সংগ্রহে রাখতে পরামর্শ দিয়েছে। মূলত বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য সনদ দেখনোর জন্যই তা সংগ্রহে রাখতে বলা হয়েছে।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা জেলা ও মহানগরীর হজযাত্রীদের ৯টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এবং অন্যান্য জেলার মুসল্লিদের বিভাগীয় শহরে সরকারি হাসপাতাল, জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে এসব টিকা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া গাজীপুরের হজযাত্রীদের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ টিকা দেয়া হবে। সরকারি এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা জেলা ও মহানগরীর হজগমনেচ্ছুদের ঢামেক হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, ফুলবাড়ীয়া সরকারি কর্মচারি হাসপাতাল, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে টিকা দেয়া হচ্ছে। চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার বাংলাদেশির পবিত্র হজ পালনের কথা রয়েছে। আগামী ৪ জুলাই থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।