লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাকিবুল ইসলাম তনু, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: রবিবার ২৬শে মে ২০১৯ ০৩:৩৬ অপরাহ্ন
লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা

দু:সহ গরমে ঘন ঘন লোডসেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কলাপাড়ায় জন জীবন। পবিত্র রমযান মাসেও এ লোড সেডিং থেকে রেহাই পাচ্ছেনা গ্রাহকরা। প্রচন্ড তাপদাহ যতই তীব্র হয়, লোড সেডিং যেন ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ে। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত বেশ কয়েকবার চলে বিদ্যুৎ দেয়া নেয়ার খেলা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৫ থেকে ৭ বার চলে লোড সেডিং। দিনে কয়েক ধাপে প্রায় আধা ঘন্টা করে লোড সেডিং দিয়ে শুরু হয় প্রথম ধাপ। সন্ধ্যায় দ্বিতীয় ধাপে গভীর রাত পর্যন্ত চলে বিদ্যুৎ দেয়া নেয়ার ভেলকিবাজি। ইফতারের সময় থাকেনা বিদ্যুৎ। বিশেষ করে প্রতিদিন তারাবির নামাজ শুরুর পর কয়েকবার যাওয়া আসা করে বিদ্যুৎ। এছাড়া অনেক দিন যাবৎ সেহরির সময়ও থাকেনা বিদ্যুৎ।

সারাদিন রোজা রেখে প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ দেয়া নেয়ার খেলায় তারাবি নামাজ শেষ করেন মুসুল্লীরা। অভিযোগ রয়েছে এমন ঘন ঘন লোড সেডিংয়ের সময় বিদ্যুৎ অফিসে মোবাইল ফোন ব্যস্ত করে রাখা হয়। আবার অনেক সময় ফোন ধরলেও দুর্বব্যবহার করা হয় গ্রাহকদের সাথে। গত শনিবার সকালে ঝড়ের সময় চলে যায় বিদ্যুৎ। পরে বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিদ্যুৎ আসে। পরে আবার আধা পর ঘন্টা চলে যায় বিদ্যুৎ। এভাবে বিদ্যুৎ দেয়া নেয়ার খেলায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারন গ্রাহকরা। এছাড়া বিদ্যুতের এহেন সমস্যায় বেশি লোকশানের মুখে পড়েছেন কলাপাড়া, আলীপুর ও মহিপুরের বরফকল ব্যবসায়ীসহ বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কল-কারখানার ব্যবসায়ীরা। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের এ লোড সেডিং সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসবে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এমনটাই আশা করেছেন কলাপাড়ার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। 

কলাপাড়া পৌর শহরের ০৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শামিম ব্যাপরী জানান, একটু ঝড় হলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। দিনে আট দশবার যাওয়া আসা করে বিদ্যুৎ। পল্লী বিদ্যুতের কাছে আবেদন রইল তারা যেন খুব তারাতারি এ লোড সেডিং সমস্যার সমাধান করে। কলাপাড়া পৌর শহরের ০৮ নং ওয়ার্ডের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রিয়াজুল করিম জানান, পল্লী বিদ্যুৎ ভেলকিবাজিতে আমরা অতিষ্ঠ। ঠিক মত সেহরি খেতে পারিনা। ইফতারের সময়ও থাকেনা বিদ্যুৎ। এছাড়া বেশির ভাগ তারাবির সময়ও ঠিকমত বিদ্যুৎ পাওয়া যায়না। মহিপুর খান আইস প্লান্টের মালিক (বরফ কল) মালিক আবদুল কামাল খান জানান, ঘন ঘন লোড সেডিংয়ের ফলে আমাদের ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পর্যাপ্ত চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা ঠিকমত বরফ সরবরাহ করতে পারছিনা। কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো.শহিদুল ইসলাম জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে একটু সমস্যা হচ্ছে। খুব দ্রƒত এ সমস্যার সমাধানে চেষ্টা চলছে। 

ইনিউজ ৭১/এম.আ