সঠিক প্রচারণার অভাবে ষষ্ঠ মৎস্য অভয়াশ্রমে চলছে অবাধে মাছ শিকার। অথচ বরিশালের (হিজলা- মেহেন্দিগঞ্জ) নদী এলাকাকে ২০১৯ সাল থেকে ষষ্ঠ মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে সরকার। তাই ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত টানা দু মাস এ অভয়াশ্রমে সকল প্রকারের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
হিজলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ছোট ইলিশ যাকে এ এলাকায় (চাপিলা) বলে, বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে। অথচ নদী পাহারায় রয়েছে মৎস্য দপ্তর, কোস্টগার্ড এবং নৌপুলিশ। শুধু ছোট ইলিশই নয়, বিক্রি হচ্ছে জাটকা, বড় ইলিশ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এ ব্যপারে জেলেদের সাথে কথা বললে তারা ইনিউজ৭১ কে জানায়, অভয়াশ্রমের ব্যপারে মৎস্য দপ্তর থেকে তাদেরকে কিছু জানানো হয়নি। তাছাড়া অভয়াশ্রম কি তা তারা জানেই না। শুধু জানে অভিযান চলছে। তাই তারা ফাকে ফাকে মাছ ধরে বিক্রি করছে তারা। দিন শেষে দেখা যায়, প্রশাসনের লোকেরা জালে আগুন লাগিয়ে পুড়ছে।
প্রশাসনের কাছে তথ্য চাইলে সঠিক তথ্য দিতে সময় ক্ষেপণ করেন। প্রশাসনের সাথে জেলেদের গোপন সখ্যতা গড়ে উঠেছে। তাই টাকার বিনিময়ে চলছে অভয়াশ্রমে অবাধে মাছ ধরা। সামনে পহেলা বৈশাখ, তা নিয়েও চলছে দরবার। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধ্বতন ব্যক্তিদেরকে পহেলা বৈশাখে ইলিশ দিতে হবে, তাই নামে মাত্র চলছে অভয়াশ্রমের কার্যক্রম। এদিকে উপজেলা মৎস্য অফিসার অপু সাহা (অঃদাঃ) অভয়াশ্রমের কোনো খোঁজই রাখেন না।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।