পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীরের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:২৪ অপরাহ্ন
পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীরের মৃত্যু

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি)মহাপরিচালক সাংবাদিক মো.শাহ আলমগীর আর নেই।ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তাকে মৃত্যু হয়। শাহ আলমগীরের বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। হঠাৎ তার রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছিল। ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে অসুস্থ হয়ে সিএমএইচে ভর্তি হন পিআইবির মহাপরিচালক। পরদিন তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছিল। শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান। 

উল্লেখ্য, পিআইবির প্রধানের দায়িত্ব ছাড়াও শাহ আলমগীর বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। ৩৫ বছরের দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি একাধিক ইলেক্ট্রনিক ও প্রিণ্ট মিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। পিআইবিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি সর্বশেষ এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে শাহ আলমগীরের সাংবাদিকতা জীবন শুরু। এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ-এ। প্রথম আলো প্রকাশের সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যুগ্ম বার্তা-সম্পাদক-এর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি টেলিভিশন মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন। চ্যানেল আই-এর প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শিশু কল্যাণ পরিষদ এবং শিশু ও কিশোরদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান ‘‌‌‌‌চাঁদের হাট’-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী’র পরিচালনা বোর্ডেরও সদস্য তিনি। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভোকেশনাল এক্সিলেন্স এওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি এওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছেন।

ইনিউজ ৭১/এম.আর