নাদিয়ার মা-বাবার খোঁজ মিলছেই না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:১৫ অপরাহ্ন
নাদিয়ার মা-বাবার খোঁজ মিলছেই না

নিজের পরিচয় সম্পর্কে এর চেয়ে তেমন বেশি কিছু বলতে পারছে না নাদিয়া। গত ২২ জানুয়ারি, গুলশান মডেল থানাধীন কালাচাঁদপুর এনিমা বিল্ডিং সংলগ্ন রাস্তার পাশ থেকে  স্থানীয়রা নাদিয়াকে পেয়ে থানায় খবর দেয়। সবুজ পায়জামা ও গোলাপী রংয়ের গেঞ্জি পরা আনুমানিক ৪ ফুট উচ্চতার মেয়েটিকে পুলিশ উদ্ধার করে। এরপর থেকে তেজগাঁয়ে ডিএমপি’র ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পুলিশের হেফাজতেই রয়েছে সে। ঠিকানা জানতে চাইলে নির্ভয় কিন্তু বিভ্রান্ত শিশুটি স্পষ্টভাবে বলতে পারছে না। অস্পষ্টভাবে সে যা বলেছিল সে অনুযায়ী, তার বাড়ি কালীবাড়ি রোড দেওয়ানবাড়ি, থানা-ভোলা সদর ও জেলা- ভোলা। কিন্তু ঠিকানাটি সঠিক না।

ডিএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন জানান, গুলশান থানা পুলিশ শিশুটিকে পাওয়ার পর তার দেয়া ঠিকানায় ওকে নিয়ে খোঁজ করেছিল। রেডিও কমিউনিকেশনের মাধ্যমে মেট্রোপলিটনের সব থানায় জানিয়েও দিয়েছিল তারা। নাদিয়ার বলা ঠিকানা অনুযায়ী ভোলায় গিয়ে ওরকম কিছুই পাওয়া যায়নি। ওর কথা মতো ভোলার পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেছে। তারা এলাকায় মাইকিংও করেছে। কিন্তু নাদিয়ার পরিবারের কোনো সন্ধান মেলেনি। এরপর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে দিয়ে যায়।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘সে (নাদিয়া) বলছিল ফুপুর সাথে ভোলা থেকে এসেছে। তার মা-বাবা ঢাকায় থাকে। যে ঠিকানাগুলোর কথা সে বলছে আমরা সেগুলোতে নক করছি। প্রতিদিন সে যে তথ্যগুলো দিচ্ছে সেগুলো যাচাই-বাছাই হচ্ছে।’ পুলিশ অবশ্য হাল ছাড়ছে না। সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে। কিন্তু তারপরেও যদি তার বাবা-মা অথবা স্বজনদের পাওয়া না যায় তাহলে কোথায় যাবে মেয়েটি? ফরিদা ইয়াসমিন জানান, বিভিন্নভাবে অনেকেই জানতে পেরেছে যে একটি শিশু আমাদের কাছে আছে। অনেকেই আসছে। সাধারণত কোনো শিশু বা কেউ হারিয়ে গেলে তার খোঁজে এখানে আসলে আমরা তাদের বাবা-মা অথবা আপনজনের তথ্য যাচাই-বাছাই করি। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রও লাগে। আমাদের লোকাল পুলিশ তাদের সাথে নিয়ে আসে। এত যাচাই-বাছাইয়ের পরই আমরা একটা শিশু, নারী বা যারা মিসিং হন তাদের বুঝিয়ে দেই। আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ওকে কারো কাছে দিতে পারছি না।

তিনি বলেন,  ‘কারো স্বজনদের পাওয়া না গেলে আমাদের সাথে পার্টনার এনজিও আছে, তাদের অনেক সাপোর্ট হোম আছে, সেখানে দেই। আবার আমাদের সরকারের যে সেফ হোম আছে সেখানেও প্রেরণ করে থাকি।’ কেউ শিশু নাদিয়ার অভিভাবকের সন্ধান জেনে থাকলে তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে (ডিউটি অফিসার: ০১৭৪৫-৭৭৪৪৮৭, টিএনটি ০২৯১১০৮৫) যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর