নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দীতে বয়ে যাওয়া বহ্মপুত্র নদীর ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি(টপসয়েল) বিক্রির হিড়িক পড়েছে। বসতভিটার কিছু দূরেই ফসলি জমি সবুজের সমারোহ।চাষ করা হয় পান, কলা, ধান, পুইশাখ, ডাটা, সরিষা, লাউ, কুমড়াসহ বিভিন্ন শস্য।সেখান থেকে ভ্যাকু মেশিন দিয়ে প্রকাশ্যে দিনে রাতে মাটি কেটে নেওয়া হয়েচ্ছে। এই চিত্র নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড দিঘাকান্দী মধ্যপাড়া গ্রামের বহ্মপুত্র নদীর তীরে।
দিঘাকান্দী গ্রামের কয়েক জন নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক কৃষক সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সেলিম রেজা নামে একজন মাটি বিক্রেতা কৃষকের বহ্মপুত্র নদীর তীরও নদীর কিছু অংশ্য ফসলি জমি ক্রয় করে ৩ থেকে ৪ হাত মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটায়। ইউনিয়নের দিঘাকান্দী মধ্যপাড়া গ্রামে বহ্ম্যপুত্র নদীর তীরে প্রায় কয়েক শত বিঘা জমি রয়েছে।ইতিমধ্যে প্রায় ৮ থেকে ১০ বিঘা নদীও নদীর পাড়ের জমির মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে।সরেজমিনে দিঘাকন্দী গ্রামের নদীর তীরে ফসলী জমি ঘুরে দেখা যায়, একটি জমিতে ১টি ভ্যাকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। কয়েক মিনিট পর পর একএকটি ট্রাক ও ট্রলি ভরে এসব মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পাশ্ববর্তী ইটভাটাতে। কৃষি জমির মধ্যখান থেকে গভীর খনন করে মাটি কাটার পাশের জমিগুলোও ভেঙে যাচ্ছে। যার কারণে অনেকই বাধ্য হয়ে মাটি বিক্রেতার কাছে মাটি বিক্রি করছেন। সে এলাকার প্রভাশালী বলে কেউ তাকে বাধাঁ দিতে সাহস পাচ্ছেনা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও দেখেও না দেখার বান করছেন।
গ্রামবাসীরা আরো জানান, সড়কপথে বেপরোয়া ট্রাকও ট্রলি দিয়ে ইটভাটার মাটি আনা নেওয়ার ফলে গ্রামের অনেক রাস্তা ভেঙে গেছে।এছাড়া মাটির ধূলায় আশেপাশের ঘরবাড়ি ও সবজিবাগানও ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে শুকুন্দী ইউনিয়ন ১-২ ও ৩ নং মহিলা সদস্য নিলুফা ইয়াছমিনকে মাটি কার্টার বিষয়ে প্রশ্ন করিলে তিনি বলেন,মাটিতো গাঙ্গের হেই দিক থেইকা কাইটাঐ আইতাছে।আর কিছু বলতে রাজি হয়নি তিনি। এ বিষয়ে মনোহরদী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আয়েশা আক্তার বলেন,আমরা কৃষি জমি নষ্টের পহ্মে নয়।প্রতি মাসিক সভায় এবিষয়ে আলোচনা করা হয়।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।