প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ২১:১১
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মুবিন নামে এক তরুণ নিহত হয়েছে। বুধবার বিকেলে পৌর শহরের নিউ মার্কেট এলাকার প্রিন্স হোটেলের সামনে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মুবিন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধার
ভাগ্নে এবং স্থানীয় বাজার সমিতির সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী মহারাজের ছোট ছেলে। সংঘর্ষের সময় তামিম শামীম নামের আরেক তরুণও আহত হন। স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মুবিন ও রনির মধ্যে এলাকার রাজনৈতিক দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে বুধবার বিকেলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রনির অনুসারীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে মুবিন ও তামিমের ওপর হামলা চালায়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুবিন মৃত্যুবরণ করেন। নিহতের পরিবার দাবি করেছে, যুবদলের উপজেলা কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে এ বিরোধের সূত্রপাত, যা ধীরে ধীরে সহিংস রূপ নেয়। মুবিনের মামা শামীম মিয়া মৃধা জানান, তার ভাগ্নেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং তাকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা
বিরাজ করছে এবং স্থানীয়রা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়েছে তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। নিহত মুবিনের মৃত্যুতে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। এলাকাবাসীও এমন সহিংস ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি তুলেছেন।