সবকিছুর আগে হওয়া চাই ভালো মানুষ: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১০ই জানুয়ারী ২০১৯ ০৬:১৫ অপরাহ্ন
সবকিছুর আগে হওয়া চাই ভালো মানুষ: শিক্ষামন্ত্রী

একজন মানুষ যত যোগ্য ও দক্ষই হোক সবার আগে তার ভালো মানুষ হওয়া জরুরি বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এজন্য তিনি শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হওয়ার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন।বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুরে শিক্ষার্থীদের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন মন্ত্রী। চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম ব্যাচের প্রথম ক্লাস উদ্বোধনী ও পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মেডিকেলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের যেমন ভালো চিকিৎসক হওয়া প্রয়োজন, পাশাপাশি একজন ভালো মানুষ হওয়াও প্রয়োজন। ভালো মানুষ হতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই যথেষ্ট নয়, তার জন্য একটি বড় সমাজবদ্ধ পরিসর রয়েছে। সেই পরিসরটাই হচ্ছে বাবা-মা।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দীপু মনি বলেন, ‘একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি বলবো, যারা নতুন শিক্ষার্থী তাদের অবশ্যই একজন রোগীকে তার আচার-আচরণে খুবই আন্তরিক হয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। আর তা না হলে যত ভালো চিকিৎসকই হোক না কেন একটি ঘাটতি থেকে যাবে।’বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বরে আমরা বিজয় অর্জন করেছি ঠিকই, কিন্তু বিজয়ের পুরো স্বাদ পাই ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে কাছে পেয়ে।’

মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ জালাল সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক  মাজেদুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি জে আর ওয়াদুদ টিপু, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা বিএম এর সভাপতি সৈয়দ নূরুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী মাসুম ও শিক্ষার্থীদের পক্ষে নামিয়া নওমিন।এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নিজে মঞ্চ থেকে নেমে নবীন শিক্ষার্থীদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে তাদের বরণ করে নেন।বিকালে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রালয়ের কিছু জায়গায় কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো শুরু থেকেই সবার সহযোগিতা নিয়ে করা হবে। পাশাপাশি সবচাইতে বড় সমস্যা যেটি প্রশ্নপত্র ফাঁস, সেটি রোধ করতে হলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বেশি সহযোগিতা লাগবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ফাঁসকৃত প্রশ্নের যত বেশি চাহিদা থাকবে, অসৎ উপায় অবলম্বনকারীরা তত বেশি বের করার চেষ্টা করবে। আমাদের দায়িত্ব হলো এটি কোনোভাবেই যেন বের না হয়। আর এক্ষেত্রে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা যদি চায় আমরা এসব প্রশ্ন গ্রহণ করবো না। তাহলে আমাদের প্রচেষ্টা থাকলে এটি বন্ধ করা সম্ভব হবে। এরপরেও যদি কেউ করে তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’