প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৭
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ আগামী ১০ দিনের মধ্যেই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, কমিশনের কাজ অনেকটাই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে এবং এখন শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে তিনি সব রাজনৈতিক দলের প্রতি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানান।
সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ১৬তম দিনের আলোচনায় এ কথা বলেন আলী রীয়াজ। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে আলোচনার অগ্রগতি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন তারা।
আলী রীয়াজ জানান, কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপিয়ে দিতে চায় না। বরং অংশগ্রহণমূলক আলোচনার মাধ্যমে একটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সনদ প্রণয়নের দিকেই তারা এগিয়ে চলেছেন। তার মতে, জুলাই মাস শেষ হওয়ার আগেই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য অত্যন্ত জরুরি।
এদিনের আলোচনায় অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ছিল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
এছাড়াও কমিশনের সদস্য হিসেবে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি সফর রাজ হোসেন, শিক্ষাবিদ ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত অধিকাংশ বিষয়ে প্রাথমিক ঐক্যমত্য গঠিত হয়েছে। শুধুমাত্র কয়েকটি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে, যা আগামী দুই এক দিনের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব বলে আশা করা হচ্ছে।
একাধিক অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি জানান, আলোচনা এখন গঠনমূলক পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং তারা প্রত্যাশা করছেন এ মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ভিত্তি তৈরি হবে।
অবশেষে আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য অর্জন করেই একটি গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলাই এখন কমিশনের একমাত্র লক্ষ্য।