প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৭
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সম্প্রতি সচিবালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দেশীয় সার জোগানে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। তিনি বলেন, দেশের সার নিয়ে কোনো ঘাটতি নেই এবং নভেম্বর পর্যন্ত সারের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে, যা চালিয়ে যেতে পারলে কোনো সমস্যা দেখা দেবে না। এর আগে সার সংক্রান্ত বিভিন্ন দেনা ছিল, যা অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি শোধ করেছে। এ কারণে এখন দেশের কাছে কেউ সারের টাকা পাওয়ার দাবিদার নয়।
তিনি আরও জানান, সারের ব্যবসায় যারা আগের লাইসেন্স নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করেছে, তাদের বাদ দিয়ে নতুন নীতিমালা অনুসারে নতুন লাইসেন্স প্রদান করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় প্রকৃত ডিলাররাই সারের ডিলারশিপ পাবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। পাশাপাশি দেশের সার নীতিমালা প্রণয়নের কাজও চলছে।
এছাড়া দেশের কৃষি খাতে আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে সারাদেশে ১০০টি মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং আগামী মৌসুমের আগেই এগুলো চালু হতে পারে। তিনি জানান, আগে এই প্রকল্পে দুর্নীতি থাকায় যন্ত্রপাতি কেনার সময় অনিয়ম হত, তবে বর্তমানে সমস্ত কাগজপত্র দুদকে পাঠানো হয়েছে এবং কঠোর নজরদারি চলছে।
আলু উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে ওএমএস (অপারেশনাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) এর মাধ্যমে আলু দেওয়ার চিন্তাভাবনাও চলছে। তিনি জানিয়েছেন, এই বছর পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়নি, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত।
অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কৃষকদের সুবিধার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং সার জোগানের পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের কৃষি উন্নয়নে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সার সংক্রান্ত এই সুসংবাদ দেশের কৃষকদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে এবং আগামীতে খাদ্য উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সরকারের এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের কৃষিখাত আরও শক্তিশালী হবে এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।