প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৫
আগামী ৩০ আগস্ট দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। এই সফর হবে ইউরোপের কোনো শীর্ষ নেতার অন্তর্বর্তী সরকারের সময় প্রথম ঢাকা সফর। সফরের প্রধান অঙ্গ হিসেবে অভিবাসন ইস্যু গুরুত্ব পাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ৩১ আগস্ট তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করবেন। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির এই সফর বাংলাদেশ-ইতালি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোববার অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সফর সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম। বৈঠকে অভিবাসন নীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে। অভিবাসন নিয়ে ইতালির সরকার কঠোর নীতির কারণে বাংলাদেশের জন্য এ সফর বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।
এ বছরের মে মাসে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেও পিয়ান্তেদোসির ঢাকায় আগমনের সময় বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে ‘মাইগ্রেশান অ্যান্ড মবিলিটি’ নামে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এই স্মারক অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণ ও বৈধ অভিবাসন ব্যবস্থাকে উন্নত করার লক্ষ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের সময়ই প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের প্রস্তাবের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিল এবং রোম থেকে সম্মতি জানানো হয়।
১৯৯৮ সালে ইতালির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রোমানো প্রোদি প্রথমবারের মতো ঢাকায় সফর করেছিলেন। এবার জর্জিয়া মেলোনি ইতালির দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশের এই সফরে আসছেন। তার সফর বাংলাদেশের জন্য কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সম্মেলনে যোগ দিতে ইতালি আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতার এক সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বলে কূটনৈতিক মহলে দেখা হচ্ছে।
জর্জিয়া মেলোনির ঢাকা সফর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মঞ্চে মর্যাদা বাড়ানোয় ভূমিকা রাখবে এবং বিশেষ করে অভিবাসন বিষয়ক সহযোগিতায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।