প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ১৩:৪৬
চার দিনের সরকারি সফরে আগামী ২৭ মে দিবাগত রাতে জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সফরের অংশ হিসেবে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হবে যা ভবিষ্যতের অংশীদারিত্বকে আরও সুসংহত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী। তিনি জানান, ড. ইউনূস জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য নিক্কেই ফোরামের ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এই সম্মেলনে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন।
ড. ইউনূসের সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে ৩০ মে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। এ বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং অবকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাপানের কাছে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট সহায়তা চাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পারস্পরিক সহায়তা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং জাপানে বাংলাদেশি কর্মীদের প্রবেশ সহজীকরণ বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
এই সফরের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলেই আশা করছে কূটনৈতিক মহল। অতীতে জাপান বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, বিশেষ করে অবকাঠামো ও শিক্ষা খাতে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে যে, এই সফরের মাধ্যমে শুধু তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিক সুবিধা নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত সম্পর্কের পথও উন্মুক্ত হবে।
৩১ মে প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তাঁর এই সফর দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।