প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১৮:৪১
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে গুঞ্জন ছড়ানোর প্রেক্ষিতে একটি বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট দিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। যদিও তিনি পরে সেই পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন, তবে এরই মধ্যে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
শুক্রবার দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে ফয়েজ লিখেছিলেন, “প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না।” এ ঘোষণাটি যেখানে গুঞ্জন থামানোর কথা, সেখানে সেটিই নতুন করে আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করেছে। পোস্টে তিনি সেনাপ্রধানের বক্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এবং সরকারের গতিশীলতা নিয়ে তীব্র মন্তব্য করেন।
ফয়েজ আহমদ তার পোস্টে দাবি করেন, অধ্যাপক ইউনূস ক্ষমতা চান না, বরং শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য তার নেতৃত্ব প্রয়োজন। তার ভাষায়, “ক্যাবিনেটকে আরও ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরও বেশি দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে হবে।”
এছাড়া, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত আলোচনার ওপর জোর দিয়ে ফয়েজ লিখেন, “কোনো বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়, সেনাবাহিনীরও রাজনীতিতে নাক গলানো চলবে না।” একই সঙ্গে তিনি সেনাবাহিনীর প্রতি সম্মান বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
পোস্টে তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন। তার মতে, এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে এবং তার আগে জুলাই সনদ অনুযায়ী সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে।
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, আগামী জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকী উদযাপন হবে এবং আগস্টের মধ্যেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার শুরু হবে বলে আশা করেন। এই বক্তব্য পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
তবে বিকেলে নিজের আগের অবস্থান থেকে সরে এসে ফয়েজ আহমদ আরেকটি পোস্টে লেখেন, “স্ট্যাটাসটি আমার ব্যক্তিগত মতামত। এটিকে নিউজ না করার অনুরোধ রইল।” যদিও তখন পর্যন্ত তার আগের পোস্টের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
এদিকে, বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, ইউনূস পদত্যাগের কথা বিবেচনা করছেন বলে দাবি করেছেন এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম। এটি রাতেই গুঞ্জনকে উস্কে দেয় এবং নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক অঙ্গনে।